বাগদা: ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত চর্চা বাড়ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে। বিজেপি বলছে, শীঘ্রই বড় কোনও খবর আসতে চলছে। আবার তৃণমূল বলছে, নাহ, বাংলায় এসবের কোনও প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির অন্যতম প্রধান মুখ শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে সিএএ লাগু হবে। বেশ জোর দিয়েই বলেছিলেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি’। তিনি বলেছিলেন, গত রবিবার। আজ আরও এক রবিবার। যদিও গতকালই নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী।
শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য, “আমি তো বলেছি, আমার একটা জিনিসে বলায় ভুল হয়েছিল। প্রসেসিংটা চলছে। আমি বলতে চেয়েছিলাম, সাত দিনের মধ্যে প্রসেসিংটা হয়ে যাবে। ওটা আমার মুখ ফস্কে বেরিয়েছে।” যদিও শনিবারও বেশ জোর গলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে নতুন আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বললেন, “কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা দেখবেন, সিএএ হচ্ছে। আমি এখনও বলছি গ্য়ারান্টি দিয়ে, সিএএ হচ্ছে। এটা আমার গ্যারান্টি নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গ্যারান্টি।”
শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার কুঠিবাড়িতে মতুয়া মহাসংঘের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। সেখানেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গে নিজের অভিমত আবারও ব্যাখ্যা করেন তিনি। গত রবিবারের ওই সাত দিনের মধ্যে সিএএ লাগু হওয়ার ওই মন্তব্যটি যে তিনি মুখ ফস্কে বলে ফেলেছিলেন, সে কথাও স্পষ্ট করেন শান্তনু।
যদিও শান্তনু ঠাকুরের গত সপ্তাহের মন্তব্যের পরই রাজ্যের তরফে মন্ত্রী শশী পাঁজা সরকারের অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, সিএএ-র প্রয়োজন নেই। সিএএ হবে না। বাংলায় সিএএ কার্যকর হবে না।”