Harrasment: স্ত্রীকে নিয়ে জিম ট্রেনার পাড়ার মোড়ে ঢুকতেই অশ্লীল ইঙ্গিত, খপাৎ করে একজন চেপে ধরল হাত, ঘিরে ধরে যা চলল …

Kamarhati: প্রতিবাদ করতেই পাল্টা বিজয়ের উপর চড়াও হয় ওই যুবকের দল। মাথা ফেটে সমানে রক্ত পড়তে শুরু করে। ঠোঁট, মুখ ফুলে যায়।

Harrasment: স্ত্রীকে নিয়ে জিম ট্রেনার পাড়ার মোড়ে ঢুকতেই অশ্লীল ইঙ্গিত, খপাৎ করে একজন চেপে ধরল হাত, ঘিরে ধরে যা চলল ...
আহত যুবক বিজয় রাও। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 7:35 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: স্ত্রীকে নিয়ে ফিরছিলেন যুবক। পাড়ার মোড়ে একদল ছেলে আড্ডা দিচ্ছিল। যুবকের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে দেখেই নোংরা কথাবার্তা বলতে শুরু করেন ওই ছেলেরা। প্রতিবাদ করতেই তাঁর উপর হামলে পড়েন। ঘিরে ধরে মারধর করা হয় তাঁকে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ঠোঁটে, গালেও মেরেছে বলে অভিযোগ। সোমবার বেলঘরিয়া থানা এলাকায় কামারহাটিতে এই ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতে শ্যামনগরের বাসুদেবপুর থানা এলাকার ঘটনার পর এদিনের ঘটনা নতুন করে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে। কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর রেলগেট এলাকা। ওই এলাকা ধরেই স্ত্রীকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ২৭ বছর বয়সী বিজয় রাও। অভিযোগ, হঠাৎই একদল যুবক বিজয় ও তাঁর স্ত্রীকে লক্ষ্য করে খারাপ কথা বলতে শুরু করেন। পেশায় বিজয় একজন জিম ট্রেনার। স্ত্রীর এমন হেনস্থায় গর্জে ওঠেন তিনি।

প্রতিবাদ করতেই পাল্টা বিজয়ের উপর চড়াও হয় ওই যুবকের দল। মাথা ফেটে সমানে রক্ত পড়তে শুরু করে। ঠোঁট, মুখ ফুলে যায়। এরপরই স্থানীয়রা তাঁকে এলাকার একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ওই দোকানের কর্মীরা। সেখানেই মাথায় তিনটে সেলাই করা হয়। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সোজা বেলঘরিয়া থানায় চলে যান বিজয় ও তাঁর স্ত্রী। বিজয় রাও বলেন, “আমি আর আমার বউ আগরপাড়া থেকে আসছিলাম। চার নম্বর রেলগেট মোড়টা পার করেছি। একটা রেশনের দোকানে বসে কয়েকজন আড্ডা মারছিল। আজেবাজে কথা বলছিল। আমি ঘুরে দাঁড়িয়ে বললাম, কেন এ ধরনের কথা বলছ? এরপরই তেড়ে এল ওরা।”

বিজয়ের কথায়, “ওরা গালিগালাজ করতে শুরু করে। এরইমধ্যে একটা ছেলে হাতে লোহার কারা পরা, মাথায় ঠুকে দেয়। অন্য একজন মুখে ঘুষিও মারে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই। দু’ তিনজন ধরে আমাকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঠোঁটে খুবই লেগেছে। গালেও কেটে গিয়েছে। হাতে, পিঠে মেরেছে। আমি সকলকে চিনি। এলাকার ছেলে ওরা। নেশা করে এসব করে। পুলিশকে জানালাম। দেখে কী করে প্রশাসন।”