বারাকপুর: তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নন্দীগ্রামে (Nandigram) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাছে হেরে যাবেন। এই ভবিষ্যদ্বাণী করে তৃণমূল কর্মীদের কংগ্রেসে অথবা সংযুক্তা মোর্চায় আসার ডাক দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury)।
শনিবার পানিহাটি সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী তাপস মজুমদারের সমর্থনে আগরপাড়া ৫ নম্বর রেলগেট থেকে মুসলমান পাড়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা এই পদযাত্রায় অংশ নেন অধীর। তার পর সভামঞ্চ থেকে কংগ্রেস সাংসদ বলেন,”নৈতিকভাবে মমতা হেরে গিয়েছেন। তাই দু’ঘণ্টা একটা বুথের মধ্যে বসে ছিলেন।” তিনি আরও যোগ করেন, নন্দীগ্রাম থেকে এজন্যই রাজ্যপালকে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মমতা। এমনকি এখন সোনিয়া গান্ধীকেও তিনি চিঠি লিখছেন তিনি, কটাক্ষ করেন অধীর। এর পরই সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের কংগ্রেস কিংবা সংযুক্ত মোর্চার ছাতার তলায় আসার ডাক দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন একুশের ভোটের এপিসেন্টার মমতা বনাম শুভেন্দুর লড়াই দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত বলে জানিয়েছিলেন অধীর। তাঁর কথায়, “২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে আমাকে হারানোর জন্য মমতা ব্যানার্জি সেনাপতি নিয়োগ করেছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। মুর্শিদাবাদ পঞ্চায়েত, মিউনিসিপালিটি গায়ের জোরে দখল করেছিল। মানুষের সাধারণ অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।” আর এসবই মমতার নির্দেশে শুভেন্দু করেছিলেন বলে দাবি বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদের।
আরও পড়ুন: সারদা মামলা: কুণাল, শতাব্দী, দেবযানীর প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
একসময় কংগ্রেস বিধায়ক, নেতাদের ভাঙিয়ে শক্তিশালী হয়েছিল তৃণমূল। তখন শুভেন্দু তৃণমূলে। দলীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বের অধিকারী শুভেন্দু পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কংগ্রেস বিধায়ক শাওনি সিংহ রায় ও অপূর্ব সরকারকে নিয়ে এসেছিলেন তৃণমূলে। এর পর মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জুড়ে কার্যত কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছিলেন অধুনা বিজেপি নেতা। বার্তা দিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদ থেকে কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। এর পর ‘১৯ এর লোকসভা ভোট। নিজের গড় বাঁচাতে ভোটের দিন মরিয়া প্রচেষ্টা করতে দেখা গিয়েছিল অধীরকে। এবার একুশের ভোটের সময় তৃণমূলীদের কংগ্রেসে আসার ডাক দিলেন অধীর। তাঁর কথায়, “সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের বলছি এখনই সুযোগ। দলে দলে কংগ্রেস বা সংযুক্ত মোর্চায় যোগদান করুন।”