West Bengal Assembly Election 2021 Phase 4: বিজেপি তোমার গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত: মমতা

"লজ্জা করে না? গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত বিজেপি তোমার। অমিত শাহ ইউ রিজাইন।''

West Bengal Assembly Election 2021 Phase 4: বিজেপি তোমার গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত: মমতা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 10, 2021 | 4:54 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: “বিজেপি তোমার গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত…অমিত শাহ ইউ রিজাইন।” বনগাঁ দক্ষিন কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে গোপালনগর ভান্ডারখোলা এলাকায় ভোট প্রচারে এসে এভাবেই আক্রমণ শানালেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

এদিন সভার শুরু থেকেই বিজেপিকে তীব্র নিশানা করেন মমতা। চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির কথা টেনে এনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজকের অনেক দুঃখের ঘটনা ঘটেছে জেনে রাখুন… কী করেছে জানেন? আজ ভোটের লাইনে চারজনকে গুলি করে মেরে দিয়েছে দিল্লির পুলিশ! একজনকে সকালে মেরেছে। আমার পাঁচটা ভাইকে মেরে দিয়ে বলছে গ্রামবাসীরা নাকি বন্দুক কাড়তে এসেছিল!” এরপরেই কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলকে আক্রমণ করে শ্লেষের সুরে মমতা বলেন, “লজ্জা করে না? গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত বিজেপি তোমার। অমিত শাহ ইউ রিজাইন।”

কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ছোড়েন মমতা। শনিবার শীতলকুচিতে যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের দিল্লির পুলিশ গুলি করে মেরেছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ শানান। বলেন, বিজেপির গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত। আর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত অমিত শাহের। পাশাপাশি সিআরপিএফ গ্রামে গ্রামে গিয়ে মেয়েদের উপর অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর দাবি, পঞ্চায়ে ত ভোটেও এত হিংসা হয়নি। যা কমিশনের পরিচালনায় বিধানসভা ভোটে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাংলায় জিতছে বিজেপি, ‘স্বীকার’ করলেন প্রশান্ত কিশোরই, অডিয়ো টেপ ফাঁস বিজেপির 

শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনায় তাঁর বার্তা,”বদলা আমি নেব তবে, গুলির বদলে আমি ভোটের মাধ্যমে বদলা নেব।” এদিন গোপালনগরের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যে জুড়ে সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের বুকে কালো ব্যাচ পরে রবিবার দুপুরে অমিত শাহের পদত্যাগ করার জন্য প্রতিবাদ মিছিল করতে নির্দেশ দেন। এছাড়া তিনি আগামী দিন নিজে গুলি চালানোর ঘটনাস্থলে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। মতুয়া গড়ে এসে বলেন, ‘আমি সমস্ত উদ্বাস্তু মতুয়াদের নাগরিক করে দিয়েছি। তাই নতুন করে নাগরিকত্ব নেবার প্রয়োজন নেই।’ নাম না করে বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতা শান্তনু ঠাকুরকেও নিশানা করেন তিনি। বলেন, বিজেপি নাগরিকত্ব নিয়ে স্রেফ ভাঁওতা দিচ্ছে।