উত্তর ২৪ পরগনা: দোলের দিন স্থানীয় এক যুবক অন্য জায়গা থেকে কিছু ছেলে এনে পাড়ায় মদের আসর বসান। তার প্রতিবাদ করায় এলাকার লোকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই অশোকনগর থানায় যান আক্রান্তরা। লিখিত অভিযোগ জানান। খবর পেয়েই অভিযোগ তোলার জন্য চাপ দিতে থাকেন ওই যুবক। অভিযোগ, রবিবার ফের তিনি একদল ছেলে নিয়ে ওই গ্রামে চড়াও হন। এলাকার ছেলেদের মারধরের পাশাপাশি মেয়েদের শ্লীলতাহানিও করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে অশোকনগর থানা থেকে বিরাট পুলিশবাহিনী আসে। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার লোকজন।
ঘটনার সূত্রপাত দোলের দিন, শুক্রবার। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানা এলাকায় একটি মাঠে একদল যুবক মদের আসর বসান। কামারথুবা এলাকা থেকে সেই যুবকরা গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে মাঠ সংলগ্ন পাড়ারও এক যুবক ছিলেন। তাঁর কারণেই সমস্ত ঝামেলা বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবকরা পাড়ার মাঠে বসে মদ খেয়ে খুবই গোলমাল করছিলেন। এরই প্রতিবাদ জানাতে যান পাড়ার মেয়েরা। সঙ্গে কিছু যুবকও ছিলেন।
অভিযোগ, এরপরই মদ্যপ যুবকরা ওই মহিলাদের উপর চড়াও হন। স্থানীয় এক যুবকের মাথাও ফেটে যায়। আহত হন একজন মহিলাও। এরপরই অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পাড়ার এক বাসিন্দা। রবিবার দুপুরে মূল অভিযুক্ত প্রায় ৪০-৫০ জনকে নিয়ে ফের ওই পাড়ায় গিয়ে হাজির হন। অভিযোগ, আবারও মহিলাদের উপর চড়াও হন, মারধর করেন। এমনকী মেয়েদের শ্লীলতাহানিও করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই যুবক বারবার অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তা না তোলার কারণেই এদিন গ্রামবাসীর উপর অত্যাচার শুরু করেন। মেয়েদের সঙ্গে অসভ্যতাও করেন। এই মারধরে ৪-৫ জন আহত হন বলেও অভিযোগ। একজনের হাত ভেঙে যায়। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার লোকজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অশোকনগর থানার পুলিশ। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভিযোগকারী জানান, “পাড়ায় এসে মদ খেয়ে হুজ্জুতি করছিল একদল ছেলে। আমরা শুধু বলি, এ পাড়া থেকে বেরিয়ে নিজেদের পাড়ায় বসে যা খুশি কর। এরপরই মেয়ে, ছেলে সকলের গায়ে হাত তোলে। যারাই ঠেকাতে গিয়েছে, তাদেরই মেরেছে। আমাদের মেয়েদের জামা ছিঁড়ে দিয়েছে, শাখা ভেঙে দিয়েছে। ব্লাউজ, ম্যাক্সি পর্যন্ত ছিঁড়ে দিয়েছে। অন্য পাড়া থেকে ছেলে ঢুকিয়ে এ ধরনের নোংরামির সাহস কী করে হয়। বাচ্চার গায়েও আঘাত লাগত। থানায় যাওয়ার পর মেডিকেল হল। অথচ কোনও বিচার নেই। প্রকাশ্যে বলছে, হাবড়ায় গেলে মার্ডার করে দেবে।”