উত্তর ২৪ পরগনা: বরানগরে (Baranagar) এক আবাসনে হানা দিয়ে মধুচক্রের খোঁজ পেল পুলিশ। ব্যারাকপুর (Barrackpore) গোয়েন্দা কর্তারা হানা দিয়ে মধুচক্রের আসর থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতারও করে। এদিকে এই মধুচক্র নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে এলাকায়। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর গোয়েন্দা বিভাগ এবং মহিলা পুলিশ থানার যৌথ অভিযানে বরানগর পুরসভা এলাকার এক আবাসন থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সঙ্গে ছিল আরও দুই নাবালিকা। অভিযোগ, এই মধুচক্র দীর্ঘদিন ধরেই ওই ফ্ল্য়াটে চলছিল। পুলিশও নজরে রাখছিল। এরপরই সুনির্দিষ্ট জায়গা থেকে খোঁজ পেয়ে হানা দেন এদিন।
এদিকে এই মধুচক্র প্রসঙ্গে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র তুলোধনা করেন সিপিএমকে। কারণ, যে ওয়ার্ডে এই ঘটনা সেখানে সিপিএমের কাউন্সিলর রয়েছেন। একইসঙ্গে মদন-বাণ সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের দিকেও। তাঁর বক্তব্য, এই এলাকায় তন্ময় ভট্টাচার্যও থাকেন। যদি পাল্টা এক হাত নিয়েছেন তন্ময়ও। বলেন, এই ফ্ল্যাট থেকে দু’জন নাবালিকা উদ্ধার হয়েছেন। যার একজনের বাড়ি মদন মিত্রের বিধানসভা এলাকায়। তাই এ নিয়ে মদন মিত্র যেন বেশি কথা না বলেন।
এ বিষয়ে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “১০-১২ বছর হল ওই ওয়ার্ডের একটি পুরনো বাড়ি ফ্ল্যাট হয়েছে। সেখানে কিডনির রোগী হিসাবে পরিচয় দিয়ে একজন থাকেন। সেই ব্যক্তির বাড়ি থেকে দুই নাবালিকা ও এক সাবালিকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু উনি কিডনির রোগী বলে গৃহবন্দি রয়েছেন। মদন মিত্র তো এটা তন্ময় ভট্টাচার্যের এলাকা জানেন, কিন্তু মদন মিত্র কি এটা জানেন উদ্ধার দুই নাবালিকার একজন মদন মিত্রের বিধানসভা কেন্দ্রের? কে পৌঁছে দিল ওনার এলাকা থেকে এখানে ওই নাবালিকাকে? মদন মিত্রের কোনও সংযোগ নেই তো? ওনার সহযোগীরা যুক্ত নয় তো? সব তথ্য সংগ্রহ করেই তাই যেন মদন মিত্র মুখ খোলেন। ঝাঁপি একবার খুলে দিলে ও লাভলি বেরিয়ে যাবে তখন।”