জগদ্দল (উত্তর ২৪ পরগনা) : জগদ্দলে ভয়ঙ্কর পরিণতি এক দম্পতির। অভিযোগ, স্ত্রীকে শিলনোড়া দিয়ে থেঁতলে খুন করে আত্মঘাতী হন স্বামী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দাম্পত্য কলহের কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যদিও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির প্রবেশ এই ঘটনায় অনুঘটকের কাজ করেছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে জগদ্দল থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা বাড়িতে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। কাজের জন্য অন্য জায়গায় থাকতে হত স্বামীকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন দশেক আগে ওই মহিলার স্বামী বাড়িতে ফেরেন। এদিকে দু’দিন আগে ছেলেরা এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। সেই সময় এই ঘটনা বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতের এই ঘটনা ঘিরে শনিবারও চাপানউতর জারি রয়েছে জগদ্দলের অ্যালাইন্স জুটমিলের শ্রমিক বস্তিতে।
নিহত ওই দম্পতির নাম রম্ভা চৌহান ও নির্মল চৌহান। দু’জনেরই বয়স ৪৫ থেকে ৫০-এর মধ্যে হবে। তাঁদের দুই ছেলে, একজনের বয়স ১২, অন্যজনের ১৮। নির্মল বাইরে কাজ করতেন। দু’ আড়াই মাস পর পর তিনি জগদ্দলে আসতেন। রম্ভার ভাই জানান, জামাইবাবু চাইতেন তাঁর দিদি তাঁর সঙ্গে থাকুক। এই নিয়ে মনোমালিন্য হত স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে। এরইমধ্যে শুক্রবার রাতে ভাই জানতে পারেন, দিদি-জামাইবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে ঢোকে তারা। দেখে রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। পড়ে রয়েছেন রম্ভাদেবী। অন্যদিকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন নির্মল চৌহান। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “ওই মহিলার দুই ছেলে। স্বামী বাইরে থাকতেন। মনে হয় স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে কোনও ঝামেলা হয়েছিল। তার জেরে এমনটা হতে পারে। পুলিশ খতিয়ে দেখে সবটা বলতে পারবে।”
রম্ভাদেবীর ভাই অরুণকুমার চৌহান বলেন, “আমি বুঝলাম না ঠিক কী হয়েছিল। তবে দিদি-জামাইবাবুর মধ্যে প্রথম থেকেই ঝামেলা চলত। চার বছর ধরে এখানেই রয়েছে ওরা। জামাইবাবু বাইরে থাকে। দু’ এক মাস পর পর আসে। জামাইবাবু চাইত দিদি যেন ওর সঙ্গে গিয়ে থাকে। দিদি যেতে চাইত না। এই নিয়ে মন কষাকষি হত। তবে এমন কিছু হবে ভাবতে পারছি না।”