
ঘোজাডাঙা (উত্তর ২৪ পরগনা): রাত তখন সাড়ে এগারোটা। সকলে যখন ঘুমের ঘোরে, সেই সময়ও বর্ডারে সক্রিয় আধা সেনা। আচমকা একটা খসখস শব্দ পেলেন মহিলা বিএসএফ জওয়ান। তৎক্ষণাত টর্চ জ্বালালেন। আর এরপরই…।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থিত বিএসএফের ৭১তম ব্যাটালিয়নের খান্ডুয়া সীমান্ত পোস্টে পাহারা দিচ্ছিলেন। জওয়ানরা আগেই তথ্য পেয়েছিলেন যে এই এলাকা থেকে পাচার হবে। সেই মতোই সতর্ক ছিলেন তাঁরা। এরপর রাত ১১.৩০ নাগাদ কর্তব্যরত একজন মহিলা কনস্টেবল লক্ষ্য করেন কয়েকজন পাচারকারী ভারতের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে এগোতে শুরু করে।
এরপর মহিলা কনস্টেবল তৎক্ষণাত টর্চ জ্বালান। তারপর অন্যান্য জওয়ানদের সতর্ক করে দেন। কিন্তু চোরাকারবারীরা সেই সব পাত্তা না দিয়েই এগিয়ে যেতে থাকে। এরপরই ওই মহিলা বিএসএফ তাদের থামতে বলেন।
কিন্তু চোরাকারবারীরা কিছুতেই সেই কথা শুনছিল না। এরপর PAG রাইফেল থেকে পর পর গুলি ছোড়েন তিনি। যার ফলে সন্দেহভাজন চোরাকারবারী উভয়ই ভয় পেয়ে পাশের গ্রাম রাণিনগরের দিকে ছুটে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছান অন্যান্য জওয়ানরা। পুরো এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান তাঁরা।
বিএসএফ সূত্রে খবর,ঘটনাস্থল থেকে দু’টি বড় বান্ডিল উদ্ধার করা হয়েছে। বান্ডিলগুলি খুলতেই সেখান থেকে মিলেছে নিষিদ্ধ ওষুধ মেথাকোয়ালোন (১ কেজি ৩০ গ্রাম), কোডিন (৭ কেজি ১২০ গ্রাম) এবং ব্রুসিন অ্যানহাইড্রাসের ১০টি বাক্স (প্রতিটি ২৫ গ্রাম)। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩,৮০,৪৫,৯৬০টাকা।
একই দিনে দ্বিতীয় বড় ঘটনায়, ১০২তম ব্যাটালিয়নের সীমান্তবর্তী পোস্ট ঘোজাডাঙ্গার জওয়ানরা সোনা পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছেন। অভিযুক্তকে আটক করেছে। তার কাছ থেকে ৩টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সোনার মোট ওজন ৪৬৬.২৯০ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৬,৯৪,৭৯৪ টাকা।
এ প্রসঙ্গে বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন যে, “আমাদের জওয়ানরা সজাগ। বিশেষ করে মহিলা কর্মীরা চোরাচালানের মতো বিপজ্জনক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্ক রয়েছে।”