Basirhat: শুতে যাওয়ার নাম করে মহিলা ঘরের মধ্যেই…পরের দিন দরজা খুলতেই হতবাক সকলে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 22, 2022 | 3:57 PM

West bengal: বসিরহাটের হাড়োয়া থানার আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝেরপাড়া গ্রামের ঘটনা। সেখানেই এগারো বছর আগে বিয়ে হয় বৈষ্ণবপাড়ার বাসিন্দা ২৯ বছরের শ্রাবন্তী দাসের সঙ্গে মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সিকিউরিটি গার্ড ৩৫ বছরের বিশ্বজিৎ দাসের।

Basirhat: শুতে যাওয়ার নাম করে মহিলা ঘরের মধ্যেই...পরের দিন দরজা খুলতেই হতবাক সকলে
শ্রাবন্তী দাস (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

বসিরহাট: দাম্পত্য জীবন প্রায় এগারো বছরের। তবুও মিটমাট হয়নি। অশান্তি, দাম্পত্য কলহ রোজই লেগে থাকত। অন্তত তেমনটাই দাবি পরিবারের। দশ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু দীর্ঘদিন পর যে মহিলার এমন পরিণতি হবে তা হয়ত ভাবেনি পরিবার!

বসিরহাটের হাড়োয়া থানার আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝেরপাড়া গ্রামের ঘটনা। সেখানেই এগারো বছর আগে বিয়ে হয় বৈষ্ণবপাড়ার বাসিন্দা ২৯ বছরের শ্রাবন্তী দাসের সঙ্গে মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সিকিউরিটি গার্ড ৩৫ বছরের বিশ্বজিৎ দাসের। শ্রাবন্তীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের সময় মোটা টাকা পণ দিতে হয় শ্বশুরবাড়িকে। এরপর তাঁদের একটি পুত্র সন্তান হয়।

মহিলার বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে অত্যাচার করতেন স্বামী বিশ্বজিৎ। প্রায়শই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য জোর করা হত তাঁকে। কিন্তু গৃহবধূ সেই টাকা দিতে না পারায় কপালে জুটত মার।

অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত্রিবেলা খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন শ্রাবন্তী। বুধবার সকালে দেখা যায় ঘরের মধ্যেই তাঁর দেহ ঝুলছে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা হাড়োয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখনই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে‌। যদিও পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, তাঁদের মেয়েকে প্রথমে গলাটিপে তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাড়োয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

এই বিষয়ে মৃতার আত্মীয় বলেন, ‘বিয়ে হওয়ার পর থেকেই পণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আমরা প্রথম-প্রথম অনেক টাকা পাঠিয়েছি। তবে পরে আর সামর্থ্য ছিল না। তাই টাকা পাঠাতে পারিনি। অশান্তি তবুও থামেনি। ওরাই খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে ওকে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’

Next Article