Sundarban Rice: নোনা জমি মানেই শুধু চিংড়ি নয়, সুন্দরবনের মাটিতে এবার ফলবে ধান

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 08, 2022 | 10:01 AM

Sundarban: এখন আর নোনা জল, লোনা জমি মানে শুধুই চিংড়ি নয়। বাঙালি বিজ্ঞানীদের হাত ধরে এবার ধানক্ষেতে সবুজ হওয়ার অপেক্ষায় পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের নোনা মাটি।

Sundarban Rice: নোনা জমি মানেই শুধু চিংড়ি নয়, সুন্দরবনের মাটিতে এবার ফলবে ধান
সুন্দরবনের মাটিতে ফলবে ধান (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

সুন্দরবন: উপকূলবর্তী এলাকা সুন্দরবন। নোনা মাটি হওয়ার জন্য সেখানে চাষবাস তেমন একটা হয় না বললেই চলে। মূলত মৎস্য শিকার এবং মোম-মধু সংগ্রহ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন সেখানকার মানুষজন। তবে এবার সুন্দরবনের সেই নোনা মাটিতেই ফলবে এবার ধান। বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে সল্ট টলারেন্ট রাইস। এখন বাজারে আসার অপেক্ষায় ওই ধানের বীজ।

এখন আর নোনা জল, লোনা জমি মানে শুধুই চিংড়ি নয়। বাঙালি বিজ্ঞানীদের হাত ধরে এবার ধানক্ষেতে সবুজ হওয়ার অপেক্ষায় পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের নোনা মাটি। আয়লার পর সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ জমিতে নোনা জল ঢুকে তা অকেজো হয়ে পড়েছিল। তারপরেই কৃষি বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করেছিলেন ডাল জাতীয় চাষ করে মাটিতে নুনের পরিমাণ কমিয়ে ফের তা ধানের চাষ যোগ্য করে তোলা।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগ প্রথম উদ্যোগ নেয় ধান গাছের মধ্যে ম্যানগ্রোভের জিন ঢুকিয়ে তা নোনা জল ও নোনা মাটিতে চাষের উপযুক্ত করে তোলার। গবেষণা শুরু হয় বিশ্বের অন্য প্রান্তেও। যুক্ত হন বায়ো-টেকনোলজির গবেষকরা। তারপরে তৈরি হয় ধান গাছের এই ভ্যারাইটি। এই কাজ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। ওরাইজা স্যাটিভা ধান গাছেন ল্যাটিন নাম। এই ধান লবণাক্ত জায়গাতেও তৈরি হবে। সেই ধান গাছের মধ্যে ম্যানগ্রোভের জিন ট্রান্সফার করা হয়েছে। বায়ো টেকনোলজি প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সম্ভব কোনও একটা গাছের জিন অন্য একটা গাছের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া। এর ফলে সম্ভব হয়েছে ধান উৎপাদন করা।

এই বিষয়ে ওয়েস্ট টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক -গবেষক নবারুণ ঘোষ বলেন, ‘এই কাজ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। ওরাইজা স্যাটিভা ধান গাছেন ল্যাটিন নাম। এই ধান লবণাক্ত জায়গাতেও তৈরি হবে। ধান গাছের মধ্যে ম্যানগ্রোভের জিন ট্রান্সফার করা হয়েছে। বায়ো টেকনোলজি প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সম্ভব কোনও একটা গাছের জিন অন্য একটা গাছের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া। এর ফলে সম্ভব হয়েছে ধান উৎপাদন করা। সেটা করার ফলে যে ধান গাছের ভ্যারাইটি হয়েছে। তা দিয়ে আমরা নিশ্চই সুন্দরবনে ধান গাছ তৈরি করতে পারব। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানীরা ছোট পানা, ধান গাছের মধ্যে দেওয়া হয় তাহলে দেখা যায় ওটা নিজেই নাইট্রোজেন তৈরি করে। তাই যদি এই ধান উৎপাদন করা যায় তাহলে চাষের ক্ষেত্রে আরও উন্নতি হবে।’

Next Article