আসানসোল: পড়শি রাজ্যে কয়লা চোরদের সঙ্গে সংঘর্ষ সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানদের। শনিবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে (Dhanbad)। সংঘর্ষে নিহত চার কয়লা চোর। ধানবাদের বাগমারি থানা এলাকায় বেনিডিহি কেসিসি মেন সাইডিন এলাকায় কয়লা চুরির খবর পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান তাঁরা। সিআইএসএফ জওয়ানদের আসতে দেখে তাঁদের লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি শুরু করে কয়লা চোররা। সিআইএসএফ-এর গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকী এক জওয়ানের বন্দুক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে বলে জানা গিয়েছে। জওয়ানদের অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলেও জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে গুলি চালানো শুরু করেন সিআইএসএফ জওয়ানরা।
সেই সময় ছয় জন কয়লা চোর গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনের। বাকি দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাঁচিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ২১টি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কী কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিআইএসএফ-এর ডিআইজি বিজয় কাজলা। তিনি জানিয়েছেন, “এক জওয়ানকে গাড়ি থেকে বের করে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই সময় আত্মরক্ষার জন্য জওয়ানরা শূন্য গুলি চালিয়েছিলেন। সেই সময় কোনওভাবে তাদের গায়ে গুলি লেগে যায়।” শনিবারের ওই ঘটনায় সিআইএসএফ-এর কুইক রেসপেন্স টিমের দুই জওয়ানও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিআইএসএফ-এর ডিআইজি আরও জানিয়েছেন, “এখানে দুই ধরনের বিষয় রয়েছে। একটি হল ডিপার্টমেন্টাল খনি, যেগুলির জন্য আমাদের সার্ভে হয়েছিল। আর রয়েছে আউটসোর্সিং খনি। যেগুলি থেকে গতরাতে এরা বেরিয়েছিল। সেগুলিতে সিআইএসএফ-এর প্রহরা থাকে না। এটির জন্য আমরা জানিয়েছি, যাতে আমাদের এখানে আরও বাহিনী পাঠানো হয়। এখানে পুরো এলাকা ঠিকভাবে পাহাড়া দিতে গেলে আমাদের আরও বাহিনীর প্রয়োজন, তা সিআইএসএফ থেকে বা অন্য কোনও জায়গা থেকে হোক।” শনিবার রাতের ওই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি।