আসানসোল: চলছিল জন্মদিনের পার্টি। আনন্দে হুল্লোড়ে ভেসেছিলেন একাধিক। গান-বাজনা, খাওয়াদাওয়া বাদ নেই কিছুর। সেই আসরেই আচমকা চলল গুলি! তাও একবার নয়, চার-চারবার! সেই গুলি চালানোর ভিডিয়ো আবার ভাইরাল করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি আসানসোলের কুলটি বরাকর রিভারসাইডের গোয়ালপট্টিতে।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োতে কী দেখা গিয়েছে? দেখা গিয়েছে, রাতারাতি কালো জ্য়াকেট, কালো ট্রাউজার পরনে এক দোহারা চেহারার যুবকের হাতে পিস্তল। পাশে দাঁড়িয়ে আরও একজন। ওই যুবকের কায়দা কোনও ফিল্মি হিরোর চেয়ে কম নয়! হাতে পিস্তল নিয়ে সেটি শূন্যে তুলে সে ফায়ার করতে থাকে। একবার। দুইবার। তিনবার। চারবার। ব্যস, এটুকুই। মাত্র ১৬ সেকেন্ডের ভিডিয়ো। আর তাতেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, গোয়ালপট্টির বাসিন্দা মনোজ যাদবের বাড়িতেই চলছিল জন্মদিনের আসর। মঙ্গলবার রাতে, সেখানে উপস্থিত হন, মনোজের বন্ধু ধর্মেন্দ্র যাদব। তাঁর কাছে ছিল একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল। সেই পিস্তল নিয়েই তিনি জন্মদিনের আসরে হাজির হন। তারপর সেটি দিয়ে দেন বন্ধু মনোজের হাতে। তখনই পিস্তল নিয়ে শূন্যে গুলি চালান মনোজ।
এদিকে গুলির আওয়াজে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। নিমন্ত্রিত যাঁরা ছিলেন তাঁরাও বেশ ভয় পেয়ে যান। খবর পেয়ে ছুটে আসে বরাকর ফাঁড়ি ও কুলটি থানার পুলিশ। প্রথমেই মনোজ ও ধর্মেন্দ্রকে আটক করা হয়। তারপর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকেই পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
যদিও, ধর্মেন্দ্র দাবি করেন, তাঁর পিস্তলটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত। পাল্টা পুলিশ জানায়, লাইসেন্স থাকলেই ইচ্ছামতো কেউ গুলি চালাতে পারেন না। এরজন্য কারোর প্রাণসংশয় হতে পারত। তাছাড়া বন্দুকের লাইসেন্স যাঁর নামে তিনিই কেবল গুলি চালাতে পারেন। সেখানে মনোজ কী করে পিস্তল চালালেন? যদিও এর সদুত্তর দিতে পারেননি ধৃত দুই যুবক। বুধবার তাঁদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়। বিচারক দু’জনেরই জামিন নাকচ করে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। উভয়কেই আগামী ২৩ নভেম্বর আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কেন আচমকা গুলি চালালেন, এর পেছনে কেবল নিছকই মজা, নাকি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর আগে, নদিয়ায় দুঁদে তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের ২১ বছরের ছেলে প্রকাশ্যে হাতে পিস্তল নিয়ে একটি জাতীয় সড়কের জনবহুল স্থানে একটি মিউজিক ভিডিয়ো করায় সেই ঘটনাকে তীব্র চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছিল। সেই মিউজিক ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এমনকী, থানায় সেই পিস্তল জমা দিতে বাধ্য হন তৃণমূল নেতা। যদিও তাঁর দাবি ছিল, খেলনা বন্দুক নিয়েই তাঁর ছেলে অমন মিউজ়িক ভিডিয়ো শ্যুট করেছে।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: Bhangar: নরম-গরম ভাঙড়! ‘তৃণমূলী সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ নওশাদের, জনসংযোগে জোর ঘাসফুলের
আসানসোল: চলছিল জন্মদিনের পার্টি। আনন্দে হুল্লোড়ে ভেসেছিলেন একাধিক। গান-বাজনা, খাওয়াদাওয়া বাদ নেই কিছুর। সেই আসরেই আচমকা চলল গুলি! তাও একবার নয়, চার-চারবার! সেই গুলি চালানোর ভিডিয়ো আবার ভাইরাল করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি আসানসোলের কুলটি বরাকর রিভারসাইডের গোয়ালপট্টিতে।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োতে কী দেখা গিয়েছে? দেখা গিয়েছে, রাতারাতি কালো জ্য়াকেট, কালো ট্রাউজার পরনে এক দোহারা চেহারার যুবকের হাতে পিস্তল। পাশে দাঁড়িয়ে আরও একজন। ওই যুবকের কায়দা কোনও ফিল্মি হিরোর চেয়ে কম নয়! হাতে পিস্তল নিয়ে সেটি শূন্যে তুলে সে ফায়ার করতে থাকে। একবার। দুইবার। তিনবার। চারবার। ব্যস, এটুকুই। মাত্র ১৬ সেকেন্ডের ভিডিয়ো। আর তাতেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, গোয়ালপট্টির বাসিন্দা মনোজ যাদবের বাড়িতেই চলছিল জন্মদিনের আসর। মঙ্গলবার রাতে, সেখানে উপস্থিত হন, মনোজের বন্ধু ধর্মেন্দ্র যাদব। তাঁর কাছে ছিল একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল। সেই পিস্তল নিয়েই তিনি জন্মদিনের আসরে হাজির হন। তারপর সেটি দিয়ে দেন বন্ধু মনোজের হাতে। তখনই পিস্তল নিয়ে শূন্যে গুলি চালান মনোজ।
এদিকে গুলির আওয়াজে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। নিমন্ত্রিত যাঁরা ছিলেন তাঁরাও বেশ ভয় পেয়ে যান। খবর পেয়ে ছুটে আসে বরাকর ফাঁড়ি ও কুলটি থানার পুলিশ। প্রথমেই মনোজ ও ধর্মেন্দ্রকে আটক করা হয়। তারপর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকেই পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
যদিও, ধর্মেন্দ্র দাবি করেন, তাঁর পিস্তলটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত। পাল্টা পুলিশ জানায়, লাইসেন্স থাকলেই ইচ্ছামতো কেউ গুলি চালাতে পারেন না। এরজন্য কারোর প্রাণসংশয় হতে পারত। তাছাড়া বন্দুকের লাইসেন্স যাঁর নামে তিনিই কেবল গুলি চালাতে পারেন। সেখানে মনোজ কী করে পিস্তল চালালেন? যদিও এর সদুত্তর দিতে পারেননি ধৃত দুই যুবক। বুধবার তাঁদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়। বিচারক দু’জনেরই জামিন নাকচ করে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। উভয়কেই আগামী ২৩ নভেম্বর আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কেন আচমকা গুলি চালালেন, এর পেছনে কেবল নিছকই মজা, নাকি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর আগে, নদিয়ায় দুঁদে তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের ২১ বছরের ছেলে প্রকাশ্যে হাতে পিস্তল নিয়ে একটি জাতীয় সড়কের জনবহুল স্থানে একটি মিউজিক ভিডিয়ো করায় সেই ঘটনাকে তীব্র চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছিল। সেই মিউজিক ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এমনকী, থানায় সেই পিস্তল জমা দিতে বাধ্য হন তৃণমূল নেতা। যদিও তাঁর দাবি ছিল, খেলনা বন্দুক নিয়েই তাঁর ছেলে অমন মিউজ়িক ভিডিয়ো শ্যুট করেছে।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: Bhangar: নরম-গরম ভাঙড়! ‘তৃণমূলী সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ নওশাদের, জনসংযোগে জোর ঘাসফুলের