TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত
Sep 18, 2021 | 11:45 PM
আসানসোল: ছিন্ন হল দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্ক। কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই বিজেপি থেকে আচমকা তৃণমূলে নাম লেখালেন বাবুল সুপ্রিয়। আর এই দলবদলের পর থেকেই বাবুলের লোকসভা কেন্দ্র আসানসোলে দুই শিবিরে দুই ধরনের দৃশ্য। এক শিবির যখন জয়োল্লাসে ব্যস্ত, তখনই অপরদিকের কর্মীরা ক্ষোভে জুতো-ঝাঁটা মারছেন বাবুলের ছবিতে।
একবার নয়, পরপর দু'বার আসানসোলের মানুষের আস্থায় ভর করে লোকসভায় গিয়েছিলেন বাবুল। তিনিও দল বদলে ফেলায় যারপরনাই মর্মাহত বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ক্ষোভে পুরোপুরি ফেটে পড়েন তাঁরা। কার্যালয়ের সামনেই বাবুলের বিরুদ্ধে ওঠে মুর্দাবাদ স্লোগান।
এখানেই থেমে থাকেননি ক্ষুদ্ধ কর্মী-সমর্থকেরা। বাবুলের ছবিতে চলে লাথি, জুতো এবং ঝাঁটার বৃষ্টি। মুর্হুমুহু ওঠে বাবুল মুর্দাবাদ স্লোগান। তৃণমূল কার্যালয়ের বাইরের ছবিটা অবশ্য একেবারেই অন্য ছিল। এ দিন আসালসোল শহরে দেখা গেল, তৃণমূলের কর্মীরা ঢাক ঢোল বাজাচ্ছে। বাজি ফাটাচ্ছেন বা সবুজ আবির মাখছেন।
ঠিক একই সময়ে উল্টো চিত্র দেখা গেল বিজেপি শিবিরের। এক সময় যারা 'বাবুল ব্রিগেড' বলে পরিচিত ছিলেন, সেই গেরুয়া শিবিরের সদস্যরা বা বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। বাবুল সুপ্রিয়র ছবিতে চটি-জুতো ছুড়ে মারলেন তাঁরা। পাশাপাশি বাবুলের ছবি দেওয়া ফ্লেক্সে ধরিয়ে দেওয়া হল আগুন।
আসানসোলের নিয়ামতপুরে জিটি রোড সংলগ্ন বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে দেখা গেল এই দৃশ্য। যে বিজেপি কর্মীরা দু-দুবার লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বাবুল সুপ্রিয়কে জিতিয়েছিলেন, তাঁকে সাংসদ-মন্ত্রী করেছিলেন। সেই নেতার পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে চলে যাওয়ায় কার্যত হতাশ কর্মীরা।
যদিও এমনটা যে হবে সেটা প্রত্যাশা করেছিলেন বাবুলও। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর শনিবারের সাংবাদিক সম্মেলনেও সেই আশঙ্কা শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে। যদিও বাবুল বারবারই বলেন, তৃণমূলের হয়ে রাজনীতির ইনিংস পুনরায় শুরু করার এই সুযোগ তিনি কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চাননি।