Durgapur: তিন TMC নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর ‘প্রস্তাব’, স্বামীর চাকরি বাঁচাতে গিয়ে চরম সিদ্ধান্ত দুর্গাপুরের তরুণীর

Jayanta Biswas | Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 22, 2024 | 1:05 PM

Trinamool Congress: অভিযোগ, তৃণমূলের তিন নেতা মিলে ওই তরুণীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। সেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাগাতার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। সেই ভয়ে পুলিশের উদ্দেশ্যে সুইসাইট নোট লিখে শুক্রবার দুপুরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ।

Durgapur: তিন TMC নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর ‘প্রস্তাব’, স্বামীর চাকরি বাঁচাতে গিয়ে চরম সিদ্ধান্ত দুর্গাপুরের তরুণীর
শোরগোল এলাকায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

দুর্গাপুর: স্বামীকে কাজে ফেরাতে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রাত্রিবাসের প্রস্তাব! চাপে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দুর্গাপুরে। অভিযোগ, স্থানীয় মহিলারা এলাকায় মদের দোকান বন্ধ করায় ওই এলাকারই এক তরুণীর স্বামীকে ঠিকাদারির কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুরু থেকেই স্বামীকে ফের কাজে ফেরানোর দাবি তুলেছিলেন গৃহবধূ। অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতারা প্রস্তাব দেন, তাঁদের সঙ্গে রাত্রিবাস করলেই স্বামীকে ফের কাজে ফেরানো হবে। সেই কুপ্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়াই লাগাতার হুমকি আসতে থাকে বলেও অভিযোগ। সেই ভয়ে পুলিশের উদ্দেশ্যে পুরো ঘটনা বিস্তারিত লিখে ফেলেন ওই মহিলা। তারপর শুক্রবার দুপুরে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানা এলাকায়। ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে।

সূত্রের খবর, ওই গৃহবধূর স্বামী দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার ছিলেন। এদিকে যে এলাকায় ওই তরুণীর বাড়ি সেখানে এলাকারই তিন তৃণমূল নেতার মদের দোকান ছিল। যদিও তা অবৈধ বলে দাবি স্থানীয়দের। এলাকার মহিলারা ওই দোকান বন্ধ করে দেন। প্রতিবাদ করেন ওই ঠিকাদারের স্ত্রীও। ওই ব্যক্তিকে ঠিকাদারি থেকে সরিয়ে দেয় দুর্গাপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু, স্বামীর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন ওই মহিলা। 

অভিযোগ, তারপরেই তৃণমূলের তিন নেতা মিলে ওই তরুণীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। সেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাগাতার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। সেই ভয়ে পুলিশের উদ্দেশ্যে সুইসাইট নোট লিখে শুক্রবার দুপুরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ। স্থানীয়রাই দ্রুত তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তর করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

কী বলছেন এলাকার লোকজন? 

ঘটনায় এক স্থানীয় মহিলা বলেন, “এলাকার তিন তৃণমূল নেতা মদের কারবারের সঙ্গে যুক্ত। ওদের মদের দোকান বন্ধ করতেই লোকসভা নির্বাচনের আগে অভিযানে নেমেছিল মেয়েটা। স্থানীয় কিছু মহিলাও ওর সঙ্গে ছিল। কিন্তু ভোটের ফল বোরেতেই শুরু হয় অত্যাচার। ওর স্বামীকেও ঠিকাদারির কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাজে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুললে মেয়েটাকে ওদের সঙ্গে রাত কাটাতে বলে।” 

যদিও দুর্গাপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পুরপিতা দেবব্রত সাঁই বলছেন অন্য কথা। তিনি বলেন, “একটা ঝামেলা হয়েছিল। দুই পাড়ার মধ্যে মদের দোকান নিয়ে বা অন্য কিছু নিয়ে ঝামেলা বলে শুনেছিলাম। উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সবাইকে ডাকা হলেও এক পক্ষ আসেনি।”  যদিও বর্তমানে ওই তরুণীর লেখা সুইসাইড নোটকে অভিযোগপত্র হিসাবে ব্যবহার করছে পুলিশ, সূত্রের খবর এমনটাই। শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। 

Next Article