আসানসোল: ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর অনুব্রত মণ্ডলকে তোলা হবে আসানসোল সিবিআই আদালতে। গত ১৯ জানুয়ারি অনুব্রতকে পেশ করা হয়েছিল আদালতে। সেদিন সিবিআই বিচারকের কাছে দাবি করেছিল, আরও বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। বীরভূমের কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের ১৭৭ টি বেনামি আকাউন্টের হদিশ মিলেছিল আগেই। তারপর আরও ৫৪ টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল বিচারকের কাছে। সিবিআইয়ের দাবি, এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ঘুরপথে কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। অনুব্রতর রাইস মিলে গিয়েছে সেই টাকা। এছাড়া ২০০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যার গ্রাহক একজনই। বিচারক প্রশ্ন করেছিলেন , ওই বেনামি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অনুব্রতর কী সম্পর্ক? সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছিলেন , ওইগুলি সব বাফার অ্যাকাউন্ট। ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে ঘুরপথে কোটি কোটি টাকা অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল লেনদেন করেছেন।
অনুব্রতর মালিকাধীন ভোলে ব্যোম এবং শিব শম্ভু রাইস মিলের টাকা ওই অ্যাকাউন্টে পাওয়া গিয়েছে। ১৯ জানুয়ারির পর আবারও সিবিআই তল্লাশি চালায় আরও ১৫০ টি নতুন অ্যাকাউন্টের হদিস পায়। অর্থাৎ মোট ৩৩০ টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। মনে করা হচ্ছে, এই সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হবে বিচারকের কাছে। পাশাপাশি বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের আপ্ত সহায়ক এবং তাঁর পরিচারককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
বৃহস্পতিবার বীরভূমের বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় অর্ক দত্ত এবং বিজয় রজককে। গোয়েন্দাদের দাবি, অর্ক আপ্ত সহায়ক এবং বিজয় পরিচারক হিসাবে কাজ করতেন অনুব্রতের। পাশাপাশি, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বাহিরি পঞ্চায়েতের প্রধান শুভঙ্কর সাধু এবং অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে সেই তথ্য বিচারকের কাছে পেশ করবে সিবিআই বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি গত ১৭ নভেম্বর শোন অ্যারেস্ট করেছিল কিন্তু অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারেনি। সেই নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে। তারপর থেকেই আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী আর জামিনের আবেদন করেননি। এখন দেখার, এদিন এজলাসে তোলার পর তার হয়ে জামিনের আবেদন করেন কিনা অনুব্রতর আইনজীবী।