আসানসোল: বৃহস্পতিবার বীরভূমের বগটুইয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে স্বজনহারাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অস্ত্র বোমার উদ্ধার ও অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরই পুলিশের তৎপরতা। অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ মিলল রূপনারায়ণপুরে। ধৃত চার কারবারি।
কুলটি, হীরাপুর ও ডিসেরগড়ের পর এবার আসানসোলের রূপনারায়ণপুরে এই অস্ত্র কারখানাটির হদিশ মেলে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আসানসোল ও ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া শেষ সীমানায় চিতালডাঙা গ্রামে বিশেষ অভিযান চালায় সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
সূত্রের খবর, চিতলডাঙা গ্রামের একটি বন্ধ বাড়িতে অস্ত্র তৈরির কারখানা চলছিল। বেআইনি অস্ত্র তৈরি ও সরবরাহর সঙ্গে যুক্ত চার কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কারখানার ভেতর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় বিহারের মুঙ্গেরের যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পৌঁছান। আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির পাশপাশি আধুনিক লোহার পাত, লোহা কাটার লেদ মেশিন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির মালিকের নাম দীনেশ চৌধুরী। তিনি বাড়িটি ভাড়াতে দিয়েছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে। স্থানীয়দের দাবি অনেকদিন বাড়িটি বন্ধ অবস্থায় পড়েছিল। কিন্তু কিছুদিন হল বাড়ির দরজা খোলা ছিল। তবে মানুষজনকে দেখা যায়নি। স্থানীয়রা ভেবেছিলেন ওই কারখানায় নাটবল্টু তৈরি হচ্ছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ঘটনার বিবরণ স্পষ্ট করেনি। তবে জানা গিয়েছে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম সহ ৭০ টির বেশি অসম্পূর্ণ অস্ত্র পাওয়া গেছে।
এক এলাকাবাসী বলেন, “আমি বাইরে ছিলাম। শুনলাম এখানের একটি কারখানা থেকে বন্দুক পাওয়া যাচ্ছে। এখানে কেউ থাকে আমরা জানি। তবে, কে থাকে জানতাম না। এইরকম জনবসতির মধ্যে অস্ত্র কারখানা উদ্ধার। আমরা যথেষ্ঠ আতঙ্কিত।” অন্যদিকে আরও এক এলাকাবাসী বলেন, “এই বাড়িটি বন্ধ ছিল। হঠাৎ কিছুদিন ধরে দেখছি দরজাগুলো খোলা। তবে ভিতরে কোনও লোকজনকে দেখতে পেতাম না কিন্তু দরজা গুলো খোলা থাকত। এরপর হঠাৎ খোঁজ-খবর নিয়ে শুনছি এখানে অস্ত্র বানানো হত। আজকে দেখি এলাকায় পুলিশে-পুলিশে ছয়লাপ।”
আরও পড়ুন: Malda Crime: একরাত কাটলেও বাড়ি ফেরেনি মেয়ে, পরনের জামাই ফাঁস করল আসল রহস্য