আসানসোল: বন্যা পরিস্থিতি বাংলার নানা প্রান্তে। ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের বলছেন ‘ম্যান মেড বন্যার’ তত্ত্ব। তোপ দেগেছেন ঝাড়খণ্ডের তরফে লাগাতার জল ছাড়া নিয়ে। তোপ দেগেছেন ডিভিসিকেও। এরইমধ্যে আসানসোল-ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করল পুলিশ। সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে আসানসোল ঝাড়খণ্ডের সংযোগকারী বিভিন্ন জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক ও নাকা চেক পোস্টগুলিতে চলছে কড়া নজরদারি। সূত্রের খবর, আসানসোলের পাঁচটি নাকা পয়েন্টে ব্যবস্থা খুবই জোরদার। পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে যে সমস্ত গাড়ি বাংলার দিকে আসছে সেগুলি সবই আটকে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। আগামী তিন দিন ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ঝাড়খণ্ড সীমানার ৫ টি নাকা পয়েন্ট সিল করার কাজ শুরু হয়ে যায় জোরকদমে। সিল হয়েছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কল্যানেশ্বরী ডুবুডিহি চেকপোস্ট। এটি ধানবাদের সঙ্গে আসানসোলকে জুড়ছে। বরাকর নদের ওপর রয়েছে চিরকুন্ডা বরাকর চেকপোস্ট। ঝাড়খণ্ডের নলা বারাবনির সংযোগরক্ষাকারী অজয় নদের ওপর রুনাকুড়া ঘাট, জামতারা রূপনারায়ণপুর চেকপোস্ট। মাইথন ড্যাম পেরিয়ে কল্যানেশ্বরী রোডে রয়েছে নাকা চেকপোস্ট। এই সবগুলিই আটকে দিয়েছে পুলিশ। তাতেই সার দিয়ে রাস্তাতেই আটকে পড়েছে পণ্য়বাহী গাড়ির দল।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি হেডকোয়াটার অরবিন্দ কুমার আনন্দ এ বিষয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই বর্ডার সিল করা হয়েছে। তবে যাত্রীবাহি গাড়ি ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা গাড়িগুলিকে ছাড়া হচ্ছে।