আসানসোল: বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার। ফের রাজনৈতিক পারদ চড়ল আসানসোলের জামুড়িয়ায়। রবিবার সকালে বিজয়নগরে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম অশোক চক্রবর্তী। হিজলগড়া গ্রামের সূত্রধরপাড়ার বাসিন্দা অশোক এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। মৃত যুবকের আত্মীয় ধনঞ্জয় চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, খুন করে দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে কাজে বেরিয়েছিলেন অশোক। রাতে ফেরেননি। পরিবারের তরফে সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। পরে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার চিন্তাভাবনা করা হয়। সকালেই প্রতিবেশীদের মারফত খবর পান, গ্রাম থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে ঝোপের মধ্যে একটি দেহ পড়ে রয়েছে। সেইমতো সেখানে যান পরিবারের সদস্যরা। অশোককে শণাক্ত করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। দেহটি যেখানে পড়েছিল তাঁর থেকে অনেকটা দূরে সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে। অশোক কীভাবে সেখানে গিয়েছিলেন, কেনই বা গিয়েছিলেন, সেই নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তাঁরা।
মৃত যুবকের মা বন্দনা চক্রবর্তী জানান, তাঁর ছেলে বিজেপি কর্মী ছিলেন। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল সে নিয়ে তাঁর বিশেষ কিছু জানা নেই। অপরদিকে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সদস্য সন্তোষ সিং জানান পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্যই বর্তমান শাসক দল, তাঁদের দলের একনিষ্ঠ কর্মীকে খুন করা হয়েছে।
দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের কাছে তাঁরা দাবি রাখবেন। যদিও এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে এর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তিনি যে দলেরই কর্মী হোক না কেন এমন মৃত্যু মোটেই কাম্য নয়। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে।’’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞার খুনের অভিযোগে তোলপাড় হয় বাংলা। তদন্তে আসেন জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পুলিশের নেতৃত্বেই খুন হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগও করেন সংবাদমাধ্য়মের সামনে। সেই মামলা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। তারইমধ্যে জামুড়িয়ায় এই ‘খুন’।