আসানসোল: তৃণমূলের শারদীয়া শুভেচ্ছার হোডিং ও ব্যানারে স্থান হল না আসানসোলের পুরনিগমের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে বিরোধীরা।
আসানসোল পুরনিগমের ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামুরিয়া কুয়োমোড় এবং জামুড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে জামুরিয়া বিধায়কের ছবি-সহ লাগানো হয়েছে শারদীয়ার শুভেচ্ছা হোডিং। জামুরিয়া বিধানসভার পক্ষ থেকে সেই হোডিংয়ে জামুড়িয়ার সমস্ত কাউন্সিলারের নাম-সহ ছবি দিয়ে জামুরিয়াবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যানারে মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এবং জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং-সহ ১৩ জন জামুরিয়ার কাউন্সিলরের ছবি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে নেই আসানসোল পুরনিগমের মেয়র ও জামুরিয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হওয়া বিধান উপাধ্যায়ের ছবি।
জামুরিয়া পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্ড সভাপতি সুভাষ পাল অভিযোগ করেন, বর্তমানে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আছেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। কিন্তু ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কলামে ছবি দেওয়া হয়েছে ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়ের। সুভাষ পাল অভিযোগ করেন, ব্যানারটি পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসের সামনেই দেওয়া হয়েছে অথচ তাঁরা কিন্তু কিছুই জানেন না। সাধারণ মানুষের ফোন আসে তাঁর কাছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের নাম ও ছবি কী ভাবে বাদ দেওয়া হল সে নিয়ে তদন্তের দাবি করেন তিনি।
যদিও এই বিষয়ে বিজেপি নেতা সন্তোষ সিং কটাক্ষ করে বলেন, “৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে বাস্তবেই জামুড়িয়াতে দেখতে পাওয়া যায় না। সে বিষয়টি তৃণমূলের পক্ষ থেকে তুলে ধরায় তাঁদের অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এখন জামুড়িয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে তিন থেকে চারটো গ্রুপ রয়েছে। আর এই গ্রুপ তৈরি হয়েছে কাটমানির জন্য। কয়লা, লোহা, বালি, জমি এই সবের টাকা, কে আগে ভাগ করবে এর জন্যই কারণে এদের এই গ্রুপ।” তিনি এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করেছেন। যদিও বিধান উপাধ্যায়ের দাবি, ওটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। দ্রুত শুধরে নেওয়া হবে।