Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Agnimitra Paul: প্রসূতি বিভাগে ঘুরছে বিড়াল, ইমার্জেন্সির সামনে গরু, সিভিক ভলান্টিয়ারকে তাড়ানোর নির্দেশ অগ্নিমিত্রার

Agnimitra Paul: প্রথমেই তিনি চলে যান হাসপাতাল চত্বরে পার্কিং এ থাকা বেশ কয়েকটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স এবং অটো ও টোটোর কাছে। বিধায়ক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে হাসপাতাল চত্বর থেকে ওই অ্যাম্বুলেন্স ও অটো টোটো গুলিকে বাইরে বের করে দেন।

Agnimitra Paul: প্রসূতি বিভাগে ঘুরছে বিড়াল, ইমার্জেন্সির সামনে গরু, সিভিক ভলান্টিয়ারকে তাড়ানোর নির্দেশ অগ্নিমিত্রার
আসানসোল জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন অগ্নিমিত্রারImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2023 | 7:52 AM

আসানসোল: জেলা হাসপাতালের ‘অব্যবস্থা’ দেখে চটে গেলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। প্রসূতি বিভাগে বিড়ালের আনাগোনা দেখে সুপারকেই বার্তা দিলেন বিড়াল তাড়ানোর। একই সঙ্গে হাসপাতাল চত্বরে গরু চড়তে দেখে সিভিক ভলান্টিয়রকে দিলেন ধমক। ফলে হাসপাতালের সামনে গরু তাড়াতে দেখা গেল সিভিক ভলান্টিয়ারদের।

বুধবার দলীয় কর্মীর এক নবজাতকে দেখতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যান আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। নবজাতককে দেখতে প্রসূতি বিভাগে ঢোকা মাত্রই তিনি ওই ওয়ার্ডে কয়েকটি বিড়ালকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। এরপরই হারান মেজাজ। সঙ্গে-সঙ্গে যোগাযোগ করেন হাসপাতাল সুপার নিখিল চন্দ্র দাসের সঙ্গে। প্রসূতি বিভাগে এইরকম পরিস্থিতি কেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেত্রী। এরপর সুপারকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনে বের হন।

প্রথমেই তিনি চলে যান হাসপাতাল চত্বরে পার্কিং এ থাকা বেশ কয়েকটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স এবং অটো ও টোটোর কাছে। বিধায়ক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে হাসপাতাল চত্বর থেকে ওই অ্যাম্বুলেন্স ও অটো টোটো গুলিকে বাইরে বের করে দেন। এরপর চলে যান জেলা হাসপাতালের নতুন ভবনে। নতুন ভবনে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ও জঞ্জাল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তাঁর নজর যায় হাসপাতালের ইসিজি বিভাগে জানালায়। সেখানে নেই কোনও পর্দা। এমনকী মহিলাদের ইসিজি করার জন্য কোনও সুব্যবস্থা নেই। হাসপাতালের সাফাই কর্মীদের নিয়মিত সাফাই কাজ চালানোর সাথে সাথে যে সমস্ত রোগী বা রোগীর পরিজন হাসপাতাল চত্বর ময়লা করছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

পরিদর্শন শেষে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় জরুরি বিভাগের সামনে বেশ কয়েকটি গরুকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি গাড়ি থেকে নেমে গরুগুলির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়রকে নির্দেশ দেন ওই গবাদি পশুগুলিকে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার জন্য। সেই নিদান পাওয়া মাত্রই সিভিক ভলান্টিয়ররা হাসপাতাল চত্বর থেকে গরু তাড়াতে নাজাহাল হয়ে পড়েন। অনেক প্রচেষ্টার পর সফলও হন তাঁরা।

অগ্নিমিত্রা বলেন, “হাসপাতালে এসে যা যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলাম তা একপ্রকার চিন্তার বিষয়। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে রয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও অটো টোটো। হাসপাতাল চত্বর অপরিচ্ছন্ন। প্রসূতি বিভাগে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিড়াল। এখান থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। গরিব মানুষের বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই।” অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, তাঁর বিধানসভাতেই জেলা হাসপাতাল। তবু তাঁকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হয়নি। তবে সদস্য না হলেও রোগীদের উন্নত পরিষেবা দেওয়ার জন্য যা যা করণীয় তা তিনি করবেন।