ট্রাকের ভেতর থেকে উদ্ধার সাংসদ সুনীল মণ্ডলের ভাইয়ের মৃতদেহ! তীব্র চাঞ্চল্য
MP Sunil Mandal's Brother death: বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের (MP Sunil Mandal) ভাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু! খুন নাকি আত্মহত্যা? সাংসদের ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে জল্পনা।
দুর্গাপুর: বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের (MP Sunil Mandal) ভাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু! ট্রাকের ভেতর থেকে উদ্ধার হল কার্ত্তিক মণ্ডল নামে ওই প্রৌঢ়ের নিথর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল কাঁকসা বাজার এলাকায়। খুন নাকি আত্মহত্যা? সাংসদের ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে জল্পনা।
সোমবার সকালে কাঁকসার মিনি বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ট্রাকের ভেতর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায়, তিনি সম্পর্কে পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের ভাই। পেশায় গাড়ি চালক ওই ব্যক্তির নাম কার্ত্তিক মণ্ডল। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয়রা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে কাঁকসা থানায় খবর পাঠান। অকুস্থলে ছুটে আসে কাঁকসা থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষক্রিয়ার মৃত্যু হয়েছে সাংসদের ভাইয়ের।
কিন্তু খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। সাংসদ সুনীল মণ্ডলকেও খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, মৃত কার্ত্তিক মণ্ডল বীরভূমের ইলামবাজারে বসবাস করতেন। পেশায় তিনি গাড়ির চালক ছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের অভিযোগ, কেউ হত্যা করেছে সাংসদের ভাইকে। যদিও এ নিয়ে সাংসদের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল গত ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। অমিত শাহের উপস্থিতিতে মেদিনীপুরের সেই সভায় শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সাংসদ তৃণমূল ছাড়ার পর তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার প্রেক্ষিতে ‘বীরের মত ইস্তফা দিয়ে ফের জিতে আসব’ মন্তব্য করা সুনীল অবশ্য কিছুদিন আগেই তাঁর বিজেপি নিয়ে মোহভঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন। এমনকি যে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করে তিনি তৃণমূল ছাড়েন তাঁর বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন। সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, বিজেপিতে এসেছিলেন সংগঠন দেখে। কিন্তু সেখানে এসে তিনি আশাহত। তাঁদের বিশ্বাস করা হচ্ছে না বলে দাবি তাঁর।
পাশাপাশি একুশের ভোটে বিজেপির ভরাডুবির জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের জোর সমালোচনা করেছেন সুনীল। তাঁর কথায়, “বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজনৈতিক জ্ঞান, ভাষা অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীদের কাছে পৌঁছতে পারিনি আমরা। খালি মিটিং-মিছিল করলে তো হবে না।” এর পর যে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বাড়িতে বৈঠক করে গত ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া সুনীল এও বলেছেন, “আমার সঙ্গে যে প্রতিজ্ঞা করেছিল, যে কথোপকথন হয়েছিল, তার একটা অক্ষর মানেনি শুভেন্দু। শুধু আমার সঙ্গে নয়, অনেকেরই কথা রাখেনি। ওঁর কথা বলতেই চাই না।” আরও পড়ুন: Exclusive Chandana Bauri: ‘আমি দল বদলাচ্ছি না’, অকপট শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা