আসানসোল: ৩২৩ দিন জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক – এই আবেদন করেন অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। কিন্তু জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় কেষ্টর। শুক্রবার নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় ভার্চুয়াল শুনানি না হলেও অনুব্রতর হয়ে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। তিনি বলেন, তাঁর মক্কেল ১১ অগষ্ট ২০২২ থেকে জেলবন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে। কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে তা জানা যাচ্ছে না।
সেই প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করে জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী জয় কিষান। তাঁর বক্তব্য, ভীষন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। এইসময় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। অনুব্রতর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন ভিন রাজ্যে রয়েছেন অনুব্রত। ওখানে থেকে বসে কী প্রভাব খাটানো সম্ভব?
বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসা করেন, ২৮৩ জন স্বাক্ষীও বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর কত লাগবে?
প্রত্যুত্তরে সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান, নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তার জন্য কয়েকজন সাক্ষীর বয়ান প্রয়োজন। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানতে চান, আর কতদিন ধরে তদন্ত চলবে? উত্তরে তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান, খুব দ্রুত ফাইনাল চার্জশিট দেওয়া হবে। দু’পক্ষের শুনানি শুনে বিচারক রায়দান সাময়িক স্থগিত রাখেন। ঘণ্টা দুয়েক পর তিনি রায় দেন। অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই।