Crime in Asansol: বাড়িতে ‘খাসির চামড়া’ পুড়ছিল বলেছিলেন ওঁরা, বেরিয়ে এল দগ্ধ বধূর লাশ!
Paschim Bardhaman: প্রতিবেশীরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি ও মৃতার দুই শিশুর আগামী ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রীতিমত চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে
আসানসোল : প্রকাশ্য দিবালোকে এক গৃহবধূকে ঘরের মধ্যে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার ধেমোমেনে। গোটা ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকার অভিযোগে মৃত গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর , শাশুড়ি ও ওই পরিবারের এক জামাইকে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম কাঞ্চন নুনিয়া (৩০)। তার বাপের বাড়ি আসানসোলের জামুড়িয়া এলাকায়। মৃত গৃহবধূর এক আত্মীয় বলেন, “কাঞ্চনের বাবা খুবই গরীব। আমরা চাঁদা তুলে ওর বিয়ে দিয়েছিলাম। তবুও যতটুকু টাকা পারতো দিত ওর বাবা। কিন্তু চাহিদামত সেই টাকা দিতে না পারার কারণে সম্ভবত কাঞ্চনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তার চার মাসের ও বছর চারেকের একটি ছেলে আছে।” বছর ছয়েক আগে কাঞ্চনের বিয়ে হয়েছিল মেনধেমোর বাসিন্দা সুধীর নুনিয়ার সঙ্গে।
মৃতার ভাই কেশব নুনিয়া বলেন, “আমার বোনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই খবর পেয়ে আমি বোনকে দেখার জন্য যতবার ঘরের ভেতরে যেতে গেছি আমাকে ওরা মারধর করেছে।” স্থানীয় বাসিন্দা লাখু নুনিয়া জানিয়েছেন, “গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে। এখানকার মানুষ যখন জিজ্ঞেস করেছিল কেন পোড়া গন্ধ আসছে ঘরের ভেতর থেকে ? তার উত্তরে ওরা বলেছিল খাসির চামড়া পুড়ছে। পরে সন্দেহ হওয়ায় আমরা জানতে পারি ওই ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিই আমরাই।”
প্রতিবেশীরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি ও মৃতার দুই শিশুর আগামী ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রীতিমত চিৎকার শুরু করে দেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা মৃতার স্বামী সুধির নুনিয়া, শ্বশুর গুলাব নুনিয়া, শাশুড়ি মঞ্জু নুনিয়া ও জামাই অর্জুন নুনিয়া। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। শুক্রবার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা