দুর্গাপুর : আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের আগে পাণ্ডবেশ্বরে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ-সহ গ্রেফতার এক। পাণ্ডবেশ্বরের ডালুরবাঁধ এলাকায় সঞ্জয় মুদি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৯ এমএম ও ৭.৫৬ এমএমের বহু কার্তুজ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার রাতে সঞ্জয় মুদির বাড়িতে হানা দেয় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। ধৃত সঞ্জয় মুদিকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাতে চায় পুলিশ।
কয়েকদিন ধরে রাজ্য জুড়ে চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। সেই কারণে পুলিশের সব শীর্ষ কর্তাদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে আগামী ১০ দিনের জন্য। রাজ্যে কোথায় কোথায় বোমা বা বেআইনি অস্ত্র রাখা আছে, সেই তল্লাশি চালানো হবে। যে সব থানায় এই সব অভিযোগ বেশি আসে, সেই থানাগুলির আইসিদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে হবে পুলিশ কর্তাদের। সেই রিপোর্ট নবান্নে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের সমস্ত জেলায় যত বোমা-বন্দুক-গুলি আছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উদ্ধার করে নষ্ট করতে হবে, ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে তল্লাশি।
সেদিনই রাতারাতি বীরভূমে উদ্ধার হয় বোমা। প্রায় ২০০ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয় বীরভূমের মাড়গ্রাম থেকে। বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও বোমা উদ্ধার হয়। বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হয় অস্ত্র।
রাজ্যের অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে সরব বিরোধীরাও। মুখ্য়মন্ত্রীকে বিঁধেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, “ভাঙড়ের সময়ে বলেছিলেন না, ওরা হচ্ছে আমাদের দলের সম্পদ। যে সকাল পর্যন্ত দলের সম্পদ ছিল, সে আপদ হল কী করে? বাংলায় কীভাবে এত অস্ত্র আসছে? তৃণমূল নেতা খুন হলেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। ”