
দুর্গাপুর: আটদিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন দুর্গাপুরের নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়া। শুক্রবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। তবে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ফেরেননি তিনি। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসের মধ্যে একটি ঘরে রাখা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার মা। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ঘরের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর দ্বিতীয় বর্ষের ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে মেডিক্যাল কলেজের বাইরে জঙ্গলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওইদিনই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে পাঁচজন দুর্গাপুরের ওই মেডিক্যাল কলেজের লাগোয়া গ্রামের যুবক। অন্যজন ওই তরুণীর সহপাঠী। যাঁর সঙ্গে তিনি ওইদিন মেডিক্যাল কলেজের বাইরে গিয়েছিলেন। সকলেই এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
গতকাল ওই মেডিক্যাল কলেজের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার শারীরিক ও মানসিক দিকের উপর নজর রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যালোচনার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ‘নির্যাতিতা’ তরুণীর বাবা জানিয়েছিলেন, গোপন জবানবন্দির পর মেয়েকে তিনি ওড়িশায় নিয়ে চলে যাবেন। দিন তিনেক আগে ‘নির্যাতিতা’-র গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আর গতকাল তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। তবে এখনও তাঁকে ওড়িশা নিয়ে যাওয়া নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি তাঁর বাবা। মেডিক্যাল কলেজেরই ক্যাম্পাসে একটি ঘরে মায়ের সঙ্গে গতকাল এসে ওঠেন। বাইরে পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ধৃতদের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। হাসপাতালের বেরনোর পথ থেকে যে রাস্তা ধরে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠী গিয়েছিলেন, সেই রাস্তাও খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনার রাতে ধৃতদের পরনে থাকা পোশাকও উদ্ধার করে পুলিশ।