Durgapur: গণধর্ষণ নয়, ‘ধর্ষক একজনই’, গোপন জবানবন্দিতে পুলিশকে জানালেন নির্যাতিতা, গ্রেফতার সহপাঠী
Durgapur Physical Assault: আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, "পাঁচ জন অভিযুক্ত। নির্যাতিতার বন্ধু ছাড়া যে পাঁচ জনের কথা বলেছিলেন, তাঁদের উপস্থিতি প্লেস অফ অকারেন্সে থাকার প্রমাণ মিলেছে। সহপাঠীর ভূমিকায় প্রশ্ন রয়েছে। নির্যাতিতার স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, এক জন অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণ করেছেন।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, “পাঁচ জন অভিযুক্ত। নির্যাতিতা বন্ধু ছাড়া যে পাঁচ জনের কথা বলেছিলেন, তাঁদের উপস্থিতি প্লেস অফ অকারেন্সে থাকার প্রমাণ মিলেছে। নির্যাতিতার স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, এক জন অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। ওকে আমরা বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সে কারণে ওর জামাকাপড়ও সিজ করেছি।” বিএনএস- এর ধারায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৩০৪ (২), ৩০৮ (২), তোলাবাজি, ৩১৭(২) ধারায় মামলা হয়েছে।
সোমবার দুর্গাপুরের ডিসিপি অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে একটা বড় টিম দুর্গাপুরের মেডিক্যাল কলেজে পিছনের জঙ্গলে যায়। সেখানে অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার সহপাঠীকে নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে ঘটনার পুননির্মাণ করা হয়। হাসপাতালের বেরনোর পথ থেকে যে রাস্তা ধরে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠী গিয়েছিলেন, সেই রাস্তাও খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনার রাতে ধৃতদের পরনে থাকা পোশাকও উদ্ধার করে পুলিশ। সহপাঠীকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের পর তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। কারণ সিপি জানিয়েছেন, তাঁর ভূমিকার সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।
উল্লেখ্য, আগেই নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে। রিপোর্টে চিকিৎসকরা উল্লেখ করেছেন, যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। যৌনাঙ্গের ভিতরের চামড়া ছিড়ে গিয়েছে। প্রবল রক্তপাতও হয়। এরপর গোপন জবানবন্দিতে নির্যাতিতা জানান, একজনই ধর্ষণ করেছে।
