
আসানসোল : কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari), তাঁর স্ত্রী কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। আসানসোল উত্তর থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হয়নি এ দিন। গত বুধবার আসানসোলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষে কম্বল বিতরণের সময় হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় শুভেন্দুর দিকেই আঙুল তুলেছে শাসক দল। এবার সেই ঘটনাতেই অভিযোগ দায়ের হল সস্ত্রীক জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে।
ঘটনায় মৃত আসানসোলের কাল্লার বাসিন্দা ঝালি বাউরির ছেলে সুখেন বাউরি শুক্রবার এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসানসোলের ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদীর তত্ত্বাবধানে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকণ্ঠম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পুলিশ ওই ঘটনার যোগ থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার তাঁদের আসানসোল আদালতে পেশ করা হচ্ছে।
এদিকে জিতেন্দ্র-চৈতালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তারা আইনি পথেই লড়াই করবে। জিতেন্দ্র ও চৈতালি দুজনেই আইনজীবী, তাই তাঁরা নিজেরাই লড়বেন বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। মৃত্যুকে সামনে রেখে নোংরা রাজনীতি করছে তৃণমূল।’ তাঁর দাবি, তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে যা করাচ্ছে, তা ঠিক করছে না ভুল করছে, তা ঠিক করবে আসানসোলের মানুষ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারছে না বলে রাগ রয়েছে তৃণমূলের।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, শুভেন্দুর অধিকারীর বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও এফআইআর করা যাবে না। আসানসোলের ঘটনার পর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল তৃণমূল। তবে শীর্ষ আদালত মামলা না শুনে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলে। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ফের আবেদন জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।