জামুড়িয়া : জল নিয়ে দুই জায়ের ঝগড়া হচ্ছিল। তাতে জড়িয়ে পড়ল দুই ভাই। আচমকা মেজো দাদা দৌড়ে গিয়ে নিয়ে এল পিস্তল। তারপর ভাইকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি। একটা গুলি লাগল ভাইয়ের কপালে। মাটিতে লুটিতে পড়লেন ছোট ভাই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত (Man shot dead) বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার ঘটনা। মৃতের নাম শেখ সফদার ওরফে বাবন আনসারি (৩৩)। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর মেজো দাদা শেখ হায়দারকে। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সফদাররা তিন ভাই। জামুড়িয়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুরের নাজির পাড়ায় একসঙ্গে থাকে ওই পরিবার। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আজ সকালে জল নেওয়া নিয়ে সফদার ও হায়দারের বউয়ের মধ্যে ঝগড়া বাধে। তাতে জড়িয়ে পড়েন দুই ভাই। প্রথমে পারিবারিক বিবাদ ভেবে স্থানীয়রা গা করেননি। আচমকা, পরপর দু-তিনটে গুলির শব্দ। প্রতিবেশীরা দৌড়ে গিয়ে দেখেন, মাটিতে পড়ে রয়েছেন সফদার। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারদিক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সফদারের পরিবার জানিয়েছে, ঝগড়ার সময় দৌড়ে গিয়ে একটা পিস্তল নিয়ে আসে হায়দার। ভাইকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালায়। ভাই মাটিতে পড়ে গেলে সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মৃত যুবকের বাবা আকবর আনসারি বলেন, কী করে এমন ঘটনা ঘটে গেল বুঝতে পারছি না। দুই বউমার ঝগড়ার মধ্যে দুই ছেলে জড়িয়ে পড়ে। আচমকাই ছোট ছেলে বাবন আনসারিকে গুলি চালিয়ে দেয় হায়দার আনসারি।
ঘটনার খবর পেয়ে আসে জামুড়িয়া থানার পুলিশ। আসেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (সেন্ট্রাল) তথাগত পান্ডে। মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, কী কারণে ভাইয়ের উপর হায়দার হামলা চালিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথা থেকে সে অস্ত্র পেল, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশের একটি দোকান থেকে ওই বন্দুক হায়দার এনেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। আগামিকাল ধৃতকে আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হবে।