দুর্গাপুর: করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে চলছে কার্যত লকডাউন। সকালে তিন ঘণ্টা কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মদের দোকান খোলার অনুমতি নেই। এর মধ্যে শনিবার রাত দশটা নাগাদ হটাৎই চার দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ল একটি মদের দোকানে। কর্মচারীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লক্ষাধিক টাকার মদ নিয়ে চম্পট দিল তারা।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত দশটা নাগাদ অন্ডাল থানার ভান্ডারডিহি গ্রামে একটি মদের দোকানে আচমকা হানা দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। কর্মচারীদের দাবি দোকান বন্ধ ছিল। সেই সময়ে দুই কর্মী দোকানের ভিতরে বসে মোবাইলে সিনেমা দেখছিলেন। অসুস্থ আরও এক কর্মী দোকানের সামনে শুয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় আচমকা হানা দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী।
কর্মচারীদের দাবি, প্রথমে ঢুকেই তাঁদের হাত থেকে ফোন কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। কাউকে যাতে খবর দিতে না পারে তার জন্য প্রত্যেকের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। এর প্রায় চল্লিশ মিনিট পরে একটি গাড়ির শব্দ শুনতে পান কর্মীরা। দোকানে ঢোকে আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী।
এসেই তারা একের পর এক ফাইল থেকে বিদেশি মদের বোতল তুলতে থাকে। এভাবে কয়েক লক্ষ টাকার পেটি ভর্তি মদ নিয়ে চম্পট দেয় তারা বলে দাবি দোকান মালিকের।
আরও পড়ুন: কার্যত লকডাউনে এবার ‘দুয়ারে রান্নাঘর’ শুরু করল তৃণমূল
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে তার সন্ধান শুরু করেছে তারা।