Durgapur Mysterious Death : ‘বাবু আর বুনুকে যেন নতুন জামা পরিয়ে দাহ করা হয়’, সন্তানদের মেরে আত্মঘাতী অমিতের ‘হাড়হিম বার্তা’

Durgapur Mysterious Death : এদিন ভোর ৫টা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অমিত মণ্ডল (৩৬), তাঁর স্ত্রী রূপা মণ্ডল (২৭), তাঁদের ছেলে নিমিত মণ্ডল (৭) ও মেয়ে নিশিতা মণ্ডলের (১) দেহ।

Durgapur Mysterious Death : ‘বাবু আর বুনুকে যেন নতুন জামা পরিয়ে দাহ করা হয়’, সন্তানদের মেরে আত্মঘাতী অমিতের 'হাড়হিম বার্তা'
ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শোরগোল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2023 | 4:19 PM

দুর্গাপুর : “বাবু আর বুনুকে যেন নতুন জামা-কাপড় পরিয়ে দাহ করা হয়, আলমারি তে আছে। আর আমাদের যাবতীয় জিনিস সব যেন আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘরে যেন আমাদের কোনও ছবি না থাকে।” মৃত্যুর আগে শেষ ফেসবুক পোস্ট (Facebook Post) ছিল এটাই। আর তার খানিক পড়েই ঘর থেকে উদ্ধার হয় দুর্গাপুরের মিলনপল্লির বাসিন্দা অমিত মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ। পাশে পড়েছিল স্ত্রীর নিথর দেহ। বিছানায় পড়ে দুই সন্তানের মৃতদেহ। সাতসকালে এই খবর শুনে চমকে উঠেছিল দুর্গাপুরবাসী (Durgapur)। শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল গোটা শহরেই। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের দাবি, সম্পত্তিঘটিত কারণে খুন (Murder) করে ফেলা হয়েছে অমিতের গোটা পরিবারকে। এদিকে যে লেখাটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে সেটাই মৃত্যুর আগে বেশ কিছু পরিচিতকে হোয়াটসঅ্যাপেও পাঠিয়েছিলেন অমিত।

তাতেই পরিবার ও আত্মীয়দের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন অমিত। মামা সুধীর নায়েকের ছেলে সুশান্ত নায়কের (নান্টু) নামেও করা হয়েছে অভিযোগ। অমিতের দাবি, তাঁর লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে, তার ব্যবসা বন্ধ করে, সম্পত্তি হাতিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছে নানটু। বোন বর্ষা আর ভগ্নিপতি কৃষ্ণর বিরুদ্ধেও উগড়ে দিয়েছেন ক্ষোভ। তাঁরা থাকেন বেঙ্গালুরুতে। পোস্টের শুরুতেই মায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি অমিতের লেখায় এসেছে এই বোন বর্ষার কথাও। লিখেছেন, “WE QUIT! আমরা ৪ জন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমাদের মৃত্যুর পিছানে ২ জন দায়ী। আমার মা আর বর্ষা। মা, বর্ষা আর কৃষ্ণর যে এতো কেনও হিংসা আমাদের উপর আজও বুঝতে পারলাম না। আমরা তো তোমাদের কোনও ক্ষতি করিনি, বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমিই সব করেছি তোমাদের জন্য। এবার তোমরা বুঝতে পারবে আমরা না থাকলে তোমাদের কি হয়! তুমি থাকো মা তোমার ভাই-ভাইপোদের নিয়ে এবার শান্তিতে, আমরা চললাম, আমাদের কোনও দরকার নেই তোমার।” 

এদিন ভোর ৫টা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অমিত মণ্ডল (৩৬), তাঁর স্ত্রী রূপা মণ্ডল (২৭), তাঁদের ছেলে নিমিত মণ্ডল (৭) ও মেয়ে নিশিতা মণ্ডলের (১) দেহ। ফেসবুক পোস্টেই অমিত লিখছেন দুই সন্তানকে মারতে এর আগে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, সফল হননি। লিখছেন “আমি আমার নিজের হাতে রূপা বাবু আর বুনুকে মেরে আমি নিজে মরলাম। আগে দু বার চেষ্টা করেছিলাম। রূপা আর বাবু মরতে চায়নি। কিন্তু আমার কিছু করার ছিলো না।” তবে গোটা পোস্টেই বারবার মামাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করে গিয়েছেন অমিত। অভিমান ঝরে পড়েছে মায়ের বিরুদ্ধেও। যদিও এ বিষয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও অমিতের মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।