দুর্গাপুর : উপ সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পলাতক এক বিচারাধীন বন্দিকে মলানদিঘির জঙ্গল থেকে পাকড়াও করল পুলিশ। তবে এখনও অধরা আরও দুই পলাতক বন্দি। ধৃতকে নিয়েই আরও দুই বন্দির সন্ধানে মলানদিঘিতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে দুর্গাপুর মহকুমা উপ সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালায় অণ্ডালের পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি কাণ্ডের আসামী ভুবন নিয়োগী, খুনের আসামি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং নেপলা মৃদ্দ্যা। তদন্ত শুরু করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। মলানদিঘির জঙ্গল হয়ে পালানোর চেষ্টা করে পলাতক আসামীরা।
সোমবার ভোর রাতে টহলদারি পুলিশ কর্মীরা হাতেনাতে ধরে ফেলে অণ্ডালের পেট্রোল পাম্প ডাকাতিকাণ্ডের আসামি ভুবন নিয়োগীকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরও দুই আসামীর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেন কাঁকসার এসিপি সুমন জয়সওয়াল।
রবিবার দুর্গাপুর উপ সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে গিয়েছিল কয়েকজন বিচারাধীন বন্দি। দুর্গাপুরের ফুলঝোড়া উপ সংশোধনাগার থেকে পাঁচিল টপকে বিচারাধীন বন্দি পালিয়ে যায়। রাতেই ভুবন নিয়োগীর নামে এক বন্দিকে ধরে ফেলে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার এসিপি। তবে বন্দি পালানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারাগারের নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ডিআইজি-কারা সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা তদন্তে নামে। বছর সাতেক আগেও একবার বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটেছিল। তিন জন বিচারাধীন বন্দি গেটের রক্ষীদের মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের এসিপি তথাগত পাণ্ডে বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল যে তিন জন আসামী পালিয়েছে। সংশোধনাগারের নিয়ম আলাদা। তাদের নিরাপত্তারক্ষী আলাদা, নিয়মও আলাদা। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। “