Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Unnatural Death: মানুষ পোড়ার গন্ধ পেয়ে ছুটে আসেন পড়শিরা! শিউরে ওঠেন গোয়াল ঘরে তরুণীকে দেখে

Asansol: ২০১৫ সালে জামুড়িয়ার নিঘার বাসিন্দা কাঞ্চন নুনিয়ার সঙ্গে আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত ধেমোমেন কোলিয়ারির বাসিন্দা সুধীর নুনিয়ার বিয়ে হয়।

Unnatural Death: মানুষ পোড়ার গন্ধ পেয়ে ছুটে আসেন পড়শিরা! শিউরে ওঠেন গোয়াল ঘরে তরুণীকে দেখে
আসানসোলে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2022 | 8:40 PM

আসানসোল: প্রাণপণে চেঁচিয়ে চলেছে বাড়ির পোষা ছাগলটা। গণগণে তাপে বাছুরটাও দূরে দাঁড়িয়ে ছটফট করছে। ওদিকে দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়ির বউ। কেউ টুঁ শব্দটি পায়নি। শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি পুড়ে যাওয়ার পর, টের পান আশেপাশের লোকজন। ছুটে আসেন তাঁরা। ততক্ষণে সমস্ত আশাই শেষ! অভিযোগ, স্বামী পণের জন্য সবসময় চাপ দিত স্ত্রীকে। মদত দিত ছেলের বাড়ির লোকজন। এদিন টাকা নিয়ে গোলমালের জেরে ওই তরুণীকে খুন (Dowry Murder) করা হয় বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের। চারজনকে আটকও করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানা (Asansol Dakkhin Police Station) পুলিশ। নিহতের পরিবারেরও দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই পুড়িয়ে মেরেছে মেয়েকে। ইতিমধ্যেই ওই তরুণীর জীবন্ত দগ্ধ হওয়ার ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায় (Viral Video)। পশ্চিমবঙ্গেও এমন নৃশংস ছবি দেখে হতবাক সকলে। নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে।

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কাঞ্চন নুনিয়া। তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫ সালে জামুড়িয়ার নিঘার বাসিন্দা কাঞ্চন নুনিয়ার সঙ্গে আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত ধেমোমেন কোলিয়ারির বাসিন্দা সুধীর নুনিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিতে থাকে সুধীর নুনিয়া বলে অভিযোগ কাঞ্চনের বাড়ির লোকজনের।

কাঞ্চনের বাড়ির লোকজন জানান, “এটা মার্ডার কেস। আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে মেয়েটাকে। বিয়ের পর থেকে অত্যাচার করত। না নিজে মেয়েটাকে বাপের বাড়ি নিয়ে যেত, না যেতে দিত। রাখিতে ভাইরা বসে থাকত, তবু যেতে দিত না। ফোনটা পর্যন্ত কেড়ে নিয়ে রেখে দিয়েছে।”

মেয়ের এমন পরিণতির খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন কাঞ্চনের মা। তিনি বলেন, “বিয়ের পর থেকে বলত মা বাবার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ। ঘরে মেয়েটাকে তালা মেরে রেখে দিত। আমাদের বলত, গরীব ঘর। ওর সমানে সমানে ঘর চাই। জামাই, জামাইয়ের মা, বাবা, বোন, জামাইবাবু সকলে মিলে মেয়েটাকে অত্যাচার করত। আমাদের দেড়টার সময় ফোন করে খবর দিয়েছে। বলছে, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। দিনের বেলা কী করে আগুন লাগিয়ে ও আত্মহত্যা করল? বাড়িতে সবসময় এত লোকজন থাকে কেউ দেখল না?”

স্থানীয়দেরও বক্তব্য, যদি দুর্ঘটনাক্রমে আগুন লেগে যেত কিংবা আত্মহত্যার ঘটনাও হোত তা হলে বাড়িতে একজন গায়ে আগুন লাগিয়েছে কেউ কেন টের পেল না? কেন পাড়ার লোকজনকে ডাকা হল না? সকলে এসে অন্তত বড় বিপদ ঠেকানোর চেষ্টাটুকু করতে পারত। যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুনিয়া পরিবারের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা