শক্তিগড়: চিকিৎসার গাফিলতিতে তরুণ পুলিশ কর্মীর মৃত্যু। অভিযোগের তির বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল শক্তিগড় থানার বামচাঁদাপুর এলকায়।
মৃত পুলিশ কর্মীর নাম অভিষেক রায় (২৮)। বাড়ি হুগলির পাণ্ডুয়া থানার বৈঁচিগ্রামে। মৃত পুলিশকর্মী ৪ ব্যাটেলিয়নে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই অভিষেক বাবু পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তাঁর পেটে গলব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে। এরপর শুক্রবার নববর্ষের দিন সকালে তাঁকে বর্ধমানের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিকাল ৪টে নাগাদ তাঁর অস্ত্রপচার করবে বলে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাবার পরও কোনেও খবর মেলে না অভিষেকের। এরপর তাঁর পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, অজ্ঞান করার পর অভিষেকের পার্লস রেট হঠাৎ কমে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা দেখা দেয় তাঁর অক্সিজেন লেভেলেরও। অভিযোগ, এভাবেই দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয় অভিষেককে। এরপর, অভিষেককে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাত্রি প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন মৃতের পরিবার পরিজনেরা। এরপরই তাঁরা শক্তিগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চিকিৎসক এবং এই অপারেশনের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের প্রত্যেকেরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, এই ব্যাপারে হাসপাতালের ম্যানেজার অনিমেষ রায় জানান, ‘ঘটনাটা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের পক্ষ থেকে সমস্ত রকমের চেষ্টায় করা হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অপারেশনের আগে পেসেন্টের হার্টবির্ট কমে যায়।আপৎকালীন সমস্ত চেষ্টায় করা হয় কিন্তু পেসেন্টের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়।’
এদিকে, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে শক্তিগড় থানার পুলিশ। শনিবার বর্ধমান হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্তও করা হয়।
আরও পড়ুন: Nadia Death: সকালে রেল-লাইন থেকে স্বামী, সন্ধেয় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার স্ত্রী