Asansol: অধ্যাপককে রাস্তায় আটকে হেনস্থা, প্রাণনাশের হুমকি, কাঠগড়ায় তৃণমূল
Asansol: আসানসোল উত্তর থানায় তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন অধ্যাপক ডক্টর সজল ভট্টাচার্য ও অশিক্ষক কর্মী তরুণ দাস। ওই তিনজনই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

আসানসোল: ফের অশান্ত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে রাস্তায় আটকে হেনস্থার অভিযোগ। দেওয়া হল প্রাণনাশের হুমকি। কাঠগড়ায় শাসকদল। উপাচার্য ডক্টর সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীকে অপসারণ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। এরইমধ্যে এবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ডিপার্টমেন্টের ডিন তথা অধ্যাপক ডক্টর সজল ভট্টাচার্যকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ঘটনায় অধ্যাপক সজল ভট্টাচার্য জানান, আসানসোল স্টেশনে নামার পর তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে কয়েকজন ফলো করতে শুরু করে। মারোয়ারী শ্মশানঘাট এলাকায় পথ আটকে তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি। সূত্রের খবর, যারা এই হুমকি দিয়েছে তাদের বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তারা সকলেই শাসকদলের সদস্য বলে খবর।
আসানসোল উত্তর থানায় তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন অধ্যাপক ডক্টর সজল ভট্টাচার্য ও অশিক্ষক কর্মী তরুণ দাস। ওই তিনজনই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। যদিও এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী বলেন, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কিছু ছদ্মবেশী বিজেপি রয়েছে। ওরাই উল্টোপাল্টা কথা বলে বাজার গরম করতে চাইছে। আসানসোলে কোনও পড়ুয়া শিক্ষকদের ভয় দেখাচ্ছে এরকম জানা নেই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এখন দিল্লি যাত্রা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবিরও। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি সুর চড়িয়ে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর সাফ প্রশ্ন, শিক্ষাবিদদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এসব দেখেও পুলিশ কী করছে?
