আসানসোল: নেই পানীয় জল। নেই শৌচালয়ে জলের ব্যবস্থা। স্কুলের বিল্ডিং জরাজীর্ণ। এমনকি স্কুলের মিড ডে মিলে নেই পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার। এরকম একটা স্কুলে আচমকা হাজির আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। সোমবার আসানসোল পুরনিগমের অধীনে থাকা সরকার অনুমোদিত অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক।
অভিযোগ ১৩৯১ সালে তৈরি হওয়া এই প্রাথমিক স্কুলে পরিকাঠামোর অভাব এখনও রয়েছে। বাথরুম রয়েছে, কিন্তু জল নেই। আলো, পাখা সবই রয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ বিলের অভাবে তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। প্রত্যেক ক্লাস রুমে জানালা রয়েছে বড় বড়। অত্যধিক জঙ্গলের জন্য সাপ, পোকা-মাকড় ও মশার উপদ্রবে খোলা যায় না সে সব জানালা। মিড ডে মিলের ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু রুটিন অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীরা তা পায় না। এলপিজি গ্যাসের ব্যবস্থা নেই স্কুলে। এখনও রান্না হয় কাঠ কয়লায়। বর্ষায় ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ে। পানীয় জল তো রয়েছে তবে তা কতটা পরিশুদ্ধ তা জানা নেই।
এলাকার স্কুলের এই অবস্থার খবর পেয়ে এ দিন ছুটে যান আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি জানান, এই অভিযোগের কথাগুলি শুনেই তিনি এসেছেন। তাঁর দাবি, অভিযোগগুলি প্রত্যেকটি যে সঠিক তা তিনি স্কুল ঘুরেই বুঝতে পারেন। তিনি সরাসরি স্কুল কর্তৃপক্ষ তথা জেলা প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন। বিধায়কের দাবি, প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবের জন্য স্কুলগুলির এই অবস্থা।
অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ‘স্কুল ফান্ডে যে টাকা আসে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব তা তাদের পকেটে রেখে দেয়।’ এই অভিযোগ নিয়ে তিনি বিধানসভায় রীতিমতো শোরগোল তুলবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই স্কুল ইনস্পেক্টর, জেলা প্রশাসন আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন জানান। যদি স্কুলগুলির পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তাহলে তিনি বৃহত্তর আন্দোলন করতে পিছপা হবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
অন্যদিকে প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় কাউন্সিলর সমিত মাজি বলেন, ‘স্কুলে জলের ব্যবস্থা রয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাথরুম রয়েছে। বাথরুমে বালতিও রাখা রয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে। মিড ডে মিলও চলে। ছাত্রছাত্রীরা খুব শান্তিতে পড়াশোনা করে। মাসে একবার করে জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়।’ তাঁর দাবি, অগ্নিমিত্রা পল ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য হাওয়া গরম করতে এসেছিলেন। নেহাত রাজনীতি করতেই বিজেপি বিধায়ক এসেছিলেন বলে দাবি তৃণমূলের।