দুর্গাপুর: সরকারি হাসপাতাল থেকে উধাও সদ্যজাত। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যথারীতি প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা।
সোমবার সকালে পান্ডবেশ্বরের গোসাঁইডাঙা থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ভাদু দাস নামে এক গর্ভবতী মহিলা। অভিযোগ, এক মহিলা তাঁকে সাহায্য করার জন্য হুইল চেয়ারে ঠেলে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভর্তি করা হয় গর্ভবতী মহিলাকে। সোমবার এই হাসপাতালেই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে সন্তানকে বিছানায় রেখে শৌচালয়ে গিয়েছিলেন ভাদু দাস। অভিযোগ, এরই মধ্যে ঘটে যায় চুরির ঘটনা। মহিলার অভিযোগ আগ বাড়িয়ে সাহায্য করতে আসা ওই অপরিচিত মহিলাই তাঁর একরত্তিকে চুরি করেছে। চুরির খবর চাউর হতেই দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার পুলিশকে বিষয়টি জানায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, তবে খোদ সরকারি হাসপাতালের হাজারো নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে সদ্যজাত শিশু সন্তান চুরির ঘটনায় এখন ব্যাপক আতঙ্কে প্রসূতি বিভাগের বাকি গর্ভবতী মহিলা ও তাঁদের পরিজনরা।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীমান মণ্ডল এই ঘটনার জন্য প্রসূতি মহিলার পরিবারকেই দায়ী করেছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে পিঙ্কি বাউরি নামে প্রসূতি মহিলার আত্মীয় বলেন, ‘আমি ওর সন্তানকে দেখেছি। সকালবেলা এসে দেখি ওর কোলে সন্তান রয়েছে। পরে দেখি মহিলা কাঁদছেন। তখন জিজ্ঞাসা করতেই বললেন যে ওনার সন্তান চুরি হয়ে গিয়েছে।’ যদিও হাসপাতাল সুপার ধীমান দাস গোটা ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওনার দিদির সঙ্গে সন্তান ছিল। সারা রাত সন্তানকে ওনার দিদি দেখেন। পরে সকালে শুনি সন্তান নেই। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’