দুর্গাপুর: ওড়িশার নম্বর প্লেট লাগানো গাড়ি। তীব্র গতিতে ছুটে চলেছে তা। পরে এসটিএফ-র (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স) জালে ধরা পড়ল ছয়জন গাঁজা পাচারকারী। ট্রাকের পাটাতনের নিচের বাঙ্কারে করে ওড়িশা থেকে অভিনব কায়দায় এই গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল নবদ্বীপে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, এসটিএফের একটি দল দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন শ্যামপুরের কাছে ট্রাকটিকে আটক করে। প্রথমটায় কিছু বুঝে ওঠার উপায় ছিল না এসটিএফ কর্তাদের। পরে তল্লাশি করতেই দেখা যায়, ট্রাকের পিছনের ডালা চাপা দেওয়া অবস্থায় রয়েছে লোহার বিশেষ কিছু ব্লক। যেগুলি সুন্দর ভাবে প্লট করে ভাগ করা। আর প্রতিটি ব্লকে একটি-একটি করে সাদা বস্তা রাখা ছিল। বস্তা খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ প্রশাসনের কর্তাদের।
ট্রাকের পিছনে এই লোহার ব্লকগুলিতে কাঠের পাটাতন চাপা দেওয়া ছিল। উপরটা এমনভাবে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল যে বাইরে থেকে কারোরই বোঝার উপায়টুকু ছিল না নিচে রাখা বাইশ বস্তা গাঁজা রাখা রয়েছে। যার ওজন নয়-নয় করে প্রায় তিনশো পঞ্চাশ কেজি। এরপর বুধবার এসটিএফ কর্তারা কোকওভেন থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই অভিযানে গ্রেফতার করেছেন ছয় জনকে। ধৃতরা হল শেখ বাসির, আনন্দ, ঝন্টু, সঞ্জয়, কার্তিক ও দেবজ্যোতি। এদের মধ্যে শেখ বাসির পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা এবং বাকি অভিযুক্তরা সকলেই নবদ্বীপের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, ওড়িশার জলেশ্বর থেকে ট্রাকটি নবদ্বীপ যাচ্ছিল। অভিযুক্ত ছয় জনকে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা থেকে আসানসোল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । পুলিশ ও এসটিএফ কর্তারা খতিয়ে দেখছেন বড় কোনও চক্র এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে কি না। মাদক কারবারিরা কোথায় কোথায় এই মাদক দ্রব্য পাচার করত আর কেই বা এদের লিঙ্কম্যান তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।