
আসানসোল: ২০০২ এর ভোটার তালিকা থেকে তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ তাঁর পরিবারের নাম উধাও। তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক রুদ্র ও তাঁর প্রয়াত চণ্ডীদাস রুদ্র, মা ঝর্ণা রুদ্রর নাম নেই। অথচ তাঁরা ২০০২-এ ভোট দিয়েছিলেন। ভোটার কার্ডও ছিল। এখন কেন বাদ ? এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অশোক। তাঁর অভিযোগ, তাঁর প্রয়াত দাদু সতীশ রুদ্র স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন।
স্বাধীনতা আন্দোলনে নেমে তৎকালীন সময়ে রেলের চাকরি গিয়েছিল দাদুর এমনটাই দাবি। অশোকের দাবি, তাঁদের জন্ম ভিটে সব এখানেই। তাঁরা রোহিঙ্গা নন, বাংলাদেশিও নন। তারপরেও ২০০২ সালের তালিকায় নাম উধাও। অর্থাৎ এই তালিকা ত্রুটিমুক্ত নয়। অথচ ত্রুটপূর্ণ ২০০২ এর ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশন SIR-এ নেমেছে। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েই তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান তিনি। এটাকে ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতা।
অশোক রুদ্র তৃণমূল রাজ্য কার্যকরী কমিটির সদস্য তথা কাউন্সিলার। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি ছিলেন। যুব তৃণমূল ও তৃণমূল শিক্ষাসেলের রাজ্য নেতাও ছিলেন। বর্তমানে তিনি আসানসোল পৌরনিগমের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
অশোক রুদ্রর অভিযোগ, তাঁর কাছে পাসপোর্ট রয়েছে। তাঁর বাবার রেলের চাকরির সার্টিফিকেট রয়েছে। জন্ম সার্টিফিকেট রয়েছে। এগুলো তিনি জমা দিয়ে দেবেন। কিন্তু অনেক সাধারণ মানুষ তারা কোথায় যাবেন? তাঁর আরও অভিযোগ, যে পদ্ধতিতে, তাড়াহুড়ো করে ২০০২ এর ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকাকে সামনে রেখে SIR হচ্ছে তারই বিরোধিতা করেন তিনি।
এই ঘটনায় বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “কাউন্সিলর অশোক রুদ্র এবং তার পরিবারের নাম ২০০২ এর ভোটার লিস্টে নেই। কেন নেই? ওটা উনি ভালো বলতে পারবেন। ভোটার লিস্ট তৈরি করা কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ না বা কোনও সরকারের কাজ না। ভোটার লিস্ট জাতীয় নির্বাচন কমিশন তৈরি করে।”
কথা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “২০০২-এ উনি বামপন্থী ছিলেন, বামপন্থীদের ধজাবাহক ছিলেন। রেল কলোনিতে থাকতেন সেই সময়। কেন সেই সময় ওনার নামটা নেই, সেটা উনি ভালো বলতে পারবেন! আর নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী, যে ১২টি নথি লাগবে, তার যে কোনও একটি জমা দিলেই ভোটার লিস্টে নাম নথিভুক্ত হবে।”
রাজনীতি করতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।