Asansol Stampede: ‘কেন আধ ঘণ্টার পথ ফিরে এলেন না?’, আসানসোলের অঘটনে শুভেন্দুকে খোঁচা শশীর

Sashi Panja: বিবার আসানসোলে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, শশী পাঁজা, বাবুল সুপ্রিয়, মলয় ঘটক, পার্থ ভৌমিক, সায়নী ঘোষরা।

Asansol Stampede: কেন আধ ঘণ্টার পথ ফিরে এলেন না?, আসানসোলের অঘটনে শুভেন্দুকে খোঁচা শশীর
আসানসোলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

| Edited By: Soumya Saha

Dec 18, 2022 | 11:42 PM

আসানসোল: কিছুদিন আগেই আসানসোলে (Asansol Stampede) শিবচর্চা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে কম্বল বিতরণ কর্মসূচিও ছিল। শুভেন্দু অধিকারী সেখান থেকে চলে যাওয়ার পরই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করে এক বিবৃতিও প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়ছে না রাজ্যের শাসক দল। রবিবার আসানসোলে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল (TMC Delegation in Asansol)। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, শশী পাঁজা, বাবুল সুপ্রিয়, মলয় ঘটক, পার্থ ভৌমিক, সায়নী ঘোষরা।

মৃত প্রীতি সিং এর মায়ের চোখের জল মুছলেন সায়নী। মৃত ঝালি বাউরির ছেলে সুখেনকে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন শশী পাঁজা। মৃত চাঁদমনি দেবীর ছেলে বিবেক যাদবকে কাঁধে হাত দিয়ে সমবেদনা জানালেন বাবুল। রামকৃষ্ণডাঙালের স্বজনহারাদের আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে জনে জনে কথা বলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, বিবেক গুপ্তারা। কি ঘটেছিল সেদিন। কারা হাসপাতালে পৌঁছেছিল। পাশে কারা ছিল সমস্ত খোঁজ খবর নেন তাঁরা।

আসানসোলের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। একইসঙ্গে তোপ দাগেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা প্রশ্ন তুলে দিলেন, কেন ঘটনার খবর পাওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী সেখানে ফিরে আসেননি। বললেন, “চৈতালি তিওয়ারিরা কেন আহত লোকজনকে নিয়ে যাননি হাসপাতালে। হয়ত সময়মতো নিয়ে গেলে আজ আমরা তাঁদের ঠিক অবস্থায় পেতাম। বাড়ির লোকজন, পাড়ার লোকজন নিয়ে গিয়েছে। যাঁরা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন, তাঁরা কেউ সেখানে ছিলেন না, পালিয়ে গিয়েছিলেন।”

সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে বললেন, “যিনি ওখানে এসে বক্তব্য রাখলেন, তিনি তো বেশিদূর যাননি। মানবিকভাবে আপনার একবারও মনে হল না ফিরে আসার কথা। আমরা তো চারঘণ্টার পথ চলে এলাম। আপনি আধ ঘণ্টার পথ ফিরে আসতে পারলেন না? কাপুরুষ।”

রবিবার যখন এই তিন পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন তৃণমূলের নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রীরা। তখন বিজেপি নেতা জিতেন তিওয়ারি দাবি করলেন, বুধবারের ঘটনার নেপথ্যে শাসকদলের ষড়যন্ত্র থাকাও বিচিত্র নয়। ঘটনার তিনদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক নেতাদের নাকি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বড় ইস্যু আছে। যেন তৈরি থাকেন তাঁরা। এমনটাই অভিযোগ করলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি।

রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও আবার পাল্টা ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও উসকে দিয়েছেন সাংবাদিক বৈঠকে। তাঁর বক্তব্য, “ষড়যন্ত্র হয়েছিল, বিনা অনুমতিতে অনুষ্ঠান হবে। তাতে পুলিশ লাঠি চালাবে এবং যদি কেউ মারা যায় তাহলে অমিত শাহ আসার আগে রাজ্যের দিকে তির ঘুরিয়ে দেব। সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি বলে গাড়ি ছুটিয়ে ফিরে গিয়েছেন।”