পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোলের বিদায়ী ডেপুটি মেয়রের হাতে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি এবার অসুস্থতার অভিযোগ তুললেনও ওই মহিলা। পেশায় যৌনকর্মী ওই মহিলা শনিবারই কুলটিতে তৃণমূলের নেত্রী তবসসুম আরার হাত থেকে ভ্যাকসিন নেন। এর পর রাত থেকে তাঁর হাতে যন্ত্রণা শুরু হয় বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে ওই মহিলা অভিযোগ তুলেছেন, ইনজেকশন দেওয়ার সময় অর্ধেক ওষুধই মাটিতে পড়ে যায়। বিদায়ী ডেপুটি মেয়রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ওই মহিলা ও তাঁর পরিবার। অন্যদিকে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে কুলটি থানায় অভিযোগ দায়েরও করা হয়েছে তবসসুমের নামে।
কুলটির চবকা যৌনপল্লিতে টিকাকরণ শিবির খুলেছিল আসানসোল পুরনিগম। সেখানে টিকাগ্রহণে উৎসাহ দিতে হাজির হন পুরনিগমের বিদায়ী ডেপুটি মেয়র তবসসুম আরা। সোজা ঢুকে পড়েন যেখানে টিকা দেওয়া চলছি। নার্সের থেকে নিজের হাতে তুলে নেন টিকা ভরা ইনজেকশন সিরিঞ্জ। গ্রহীতার আসনে বসে থাকা এক মহিলার শরীরে গেঁথে দেয় সেই সিরিঞ্জ। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। কোনওরকম প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ কী ভাবে টিকা দিতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমনকী সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক ও দুই নার্সকে শোকজও করা হয়। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান চিঠি ধরান তবসসুমকেও।
এরই মধ্যে বিতর্ক বাড়াল টিকা গ্রহণকারী ওই মহিলার বক্তব্য। যাঁকে তবসসুম টিকা দেন, রবিবার তিনি অভিযোগ করেন, “কী ইনজেকশন দিয়েছে ভয়ে আছি। একটা ডাক্তার দিল না। হাতে যন্ত্রণা।” যদিও রবিবার পুরসভার চিকিৎসকরা ওই মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানান, সুস্থই আছেন তিনি। ওই মহিলাকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য শনিবারই পুরনিগমের তরফে একজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
চবকা এলাকায় রবিবার কিছুক্ষণের জন্য় যান সেই চিকিৎসক। ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলেন। স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করেন। ১৫ মিনিটের মধ্যে চলেও যান। যাওয়ার আগে বলে যান, ওই মহিলা সুস্থ আছেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু মহিলার দাবি, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যে হাতে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন রবিবার সেই হাতে অসহ্য যন্ত্রণা। অভিযোগ ভায়ালের ভ্যাকসিন তাঁর শরীরে পুরো ঢোকেনি। অনেকটাই বাইরে পড়ে যায়। ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের দাবি, তবসসুম আরার শাস্তি হোক।