SFI-TMCP Clash: বামেদের রক্তদান শিবিরে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, কুলটিতে থানা ঘেরাও মীনাক্ষীদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 29, 2022 | 10:25 PM

SFI-TMCP Clash: বামেদের অভিযোগ, যে সময় হামলার ঘটনা ঘটে তখন কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল পুলিশ।

SFI-TMCP Clash: বামেদের রক্তদান শিবিরে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, কুলটিতে থানা ঘেরাও মীনাক্ষীদের

Follow Us

আসানসোল: এসএফআই (SFI) আয়োজিত রক্তদান শিবিরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMC) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে মঙ্গলবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল কুলটি কলেজে (Kulti College)। কলেজের বাম সমর্থক পড়ুয়া, কলেজের ফ্যাকাল্টি ও কর্মীরা মিলে মঙ্গলবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন। সেখানেই রক্তদাতাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপির সদস্যদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ছুটে আসেন সিপিআইএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়, মনোজ মুখোপাধ্যায়রা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে ঘেরাও করা হয় কুলটি থানা। বামেদের অভিযোগ, যে সময় হামলার ঘটনা ঘটে তখন কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল পুলিশ।

হামলাকারীদের ধরা তো দূর, আক্রান্তের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়নি পুলিশের তরফে। এমনটাই দাবি মীনাক্ষীর। ইতিমধ্যেই গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সইফ খানের দাবি, “কোনও অনুমতি ছাড়াই এই রক্তদান শিবির চলছিল। কুলটির প্রাক্তন বিধায়ককেও আমন্ত্রণ করা হয়নি। কলেজের ছাত্রদের ডাকা হয়নি। বহিরাগত নিয়ে চলছিল শিবির। সেই নিয়ে আপত্তি তুলেছিলাম আমরা। কোনও হামলা হয়নি।” কুলটি কলেজের প্রিন্সিপাল সুপ্রীয় চক্রবর্তী বলেন, ভুল বোঝাবোঝি হয়েছিল। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “কলেজের ছাত্র-ফ্যাকাল্টি সবাই মিলে রক্তদান শিবির করছিলেন। এই ছাত্ররাই কোভিডের সময় রেড ভলেন্টিয়ার্স হয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করেছেন। তাঁদের আজ মারধর করা হল। রক্তাদান চলাকালীন হাতে থেকে সূচ টেনে বের করে দেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগও নিতে চাইছিল না। অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে আমরা বড় আন্দোলনে নামব। কারা এ কাজ করেছে সেটা খঁজে বের করা পুলিশের কাজ। কলেজের সিসিটিভি রয়েছে, আমাদের কাছেও ফুটেজ রয়েছে। যাঁরা রক্তদাতাদের উপর হামলা চালায় তাঁরা দুষ্কৃতী। তাঁদের ধরা পুলিশের কাজ।”

Next Article