AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পরপর দুই বোনের রহস্যজনক মৃত্যু, গোপনে সৎকারের চেষ্টা দাদার, সম্পত্তির লোভেই কি…?

‌এপ্রিল মাসে মৃত্যু হয় এক বোনের। তখনও গোপন ছিল কারণ। এবারও তাই। সম্পত্তির লোভে খুন করা হয়েছে কি না খতিয়ে দেখবে পুলিশ

পরপর দুই বোনের রহস্যজনক মৃত্যু, গোপনে সৎকারের চেষ্টা দাদার, সম্পত্তির লোভেই কি...?
প্রতীকী ছবি
| Updated on: May 26, 2021 | 8:21 PM
Share

আসানসোল : গোপনেই বোনের মৃতদেহ সৎকার করার চেষ্টা করছিলেন দাদা। প্রতিবেশীদের হাতে ধরা পড়তেই আটক করা হল তাঁকে। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে পরপর দুই বোনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে আসানসোলে (Asansol)। বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে আগেই। দাদার সঙ্গেই থাকতেন দুই বোন। বোন সীমা পালকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ আটক করেছে দাদ বিধান পালকে।

মাসখানেক আগেই আর এক বোনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল৷ সেবারও কাউকে কিছু না জানিয়ে মৃতদেহ সৎকার করে দিয়েছিলেন দাদা বিধানচন্দ্র পাল৷ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছিল বুধবারও৷ এ দিন আর এক বোনেরও মৃতদেহ গোপনে সৎকার করে ফেলার চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি৷ তা দেখতে পেয়ে আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা ধরে ফেলেন দাদা বিধানকে৷

কীভাবে মৃত্যু হল বোনের? বিধান পালকে চেপে ধরেন তাঁরা৷ সদুত্তর না পেয়ে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রয়াত মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে৷ আসানসোলের সারদা পল্লির ঘটনায় বাড়ছে রহস্য৷

আসানসোলের সারদা পল্লী এলাকারই বাসিন্দা বিধানচন্দ্র পাল৷ বাবা, মা আগেই মারা গিয়েছেন৷ বিধানের সঙ্গে থাকতেন তাঁর দুই অবিবাহিত বোন শম্পা ও সীমা৷ গত ১৪ এপ্রিল শম্পা পাল মারা যান৷ বিধান কাউকে কিছু না জানিয়েই শম্পা পালের দেহ সৎকার করে দেন৷ তাঁর এই আচরণে সন্দেহ হয়েছিল আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের৷ তবে তখন এ নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। এদিকে, বুধবার বিধান আবারও একইভাবে তাঁর আর এক বোন সীমা পালের দেহ গোপনে সৎকার করে ফেলার চেষ্টা করলে সন্দেহ বাড়ে৷ এরপরই তাঁকে আটকান প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা৷ তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷

আরও পড়ুন: স্থলভাগ ধরে এগোচ্ছে ‘ইয়াস’, দাপট চলবে রাত পর্যন্ত

আত্মীয়দের অভিযোগ, বিধান অনলাইনে লটারি খেলেন৷ সেখানে টাকা খুইয়ে বাড়ি-ঘরও বিক্রি করতে হয়েছে তাঁকে৷ সেই ঘটনার সঙ্গে দুই বোনের মৃত্যুর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও বিধান পালের দাবি, ‘হার্টফেল করে আমার বোন মারা গিয়েছে৷ আমার কাছে ডেথ সার্টিফিকেটও আছে৷ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে৷’