Asansol: কেটেছে ১৩ বছর, কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনে এখনও পুনর্বাসনের আশায় জামুরিয়ার ধস কবলিতরা

Asansol: জামুরিয়ার শ্রীপুরের ছাতিমডাঙায় প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস। এই সকল পরিবারই ধসের কবলে পড়েছিল। পুনর্বাসনের জন্য ১৫৫ টি পরিবারের হাতে নতুন ঘরের চাবি, মালিকানার কাগজপত্র ও দশ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছিল ২০২১ সালে।

Asansol: কেটেছে ১৩ বছর, কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনে এখনও পুনর্বাসনের আশায় জামুরিয়ার ধস কবলিতরা
এখনও পুনর্বাসনের আশায় এলাকার বাসিন্দারা Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2023 | 6:04 PM

আসানসোল: কেটে গিয়েছে ১৩ বছরের বেশি সময়। অভিযোগ আজও পুনর্বাসন মেলেনি ধস কবলিতদের। মাথায় এখনও বিপদের ভয়। তা নিয়েই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন জামুরিয়ার ছাতিমডাঙা এলাকার মানুষজন। সালটা ছিল ২০১১। ওই বছরেই ভয়ঙ্কর ধস নেমেছিল এই ছাতিমডাঙায়। গোটা একটা বস্তি চলে গিয়েছিল মাটির গহ্বরে। গাছপালা থেকে ঘড়বাড়ি, চোখের নিমেষে সব চলে গিয়েছিল মাটির তলায়। মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। আহত হয়েছিলেন অনেকে। 

তারপর থেকে ধস কবলিত গ্রামের লোকজনের ঠাঁই হয়েছিল ইসিএলের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থাও বিশেষ ভাল নয়। কিন্তু, সেখানেই ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ছিলেন গ্রামের লোকজন। সূত্রের খবর, ২ বছর আগে ধস কবলিতদের মধ্যে ছাতিমডাঙার কয়েকটি পরিবার পুরর্বাসন পান। জামুরিয়ার বিজয়নগরে ধস পুনর্বাসনের আবাসনে স্থানান্তর করা হয়। অভিযোগ, আরও অনেক পরিবারের হাতে পুনর্বাসনের কার্ড থাকা সত্ত্বেও মেলেনি পুনর্বাসনের আবাসন। কবে মিলবে পাকা থাকার জায়গা সেই প্রশ্ন উঠলেও উত্তর মিলছে না। ধস পুনর্বাসনের দায়িত্বে থাকা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ যদিও এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষছেন। সংস্থার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কেন্দ্র টাকা না পাঠানোয় আটকে গিয়েছে পুনর্বাসন আবাসন নির্মাণের কাজ। আবাসন তৈরির কাজ শেষ হলেই বাকিদের নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, জামুরিয়ার শ্রীপুরের ছাতিমডাঙায় প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস। এই সকল পরিবারই ধসের কবলে পড়েছিল। পুনর্বাসনের জন্য ১৫৫ টি পরিবারের হাতে নতুন ঘরের চাবি, মালিকানার কাগজপত্র ও দশ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছিল ২০২১ সালে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই ১৫৫ পরিবারকে জামুরিয়ার বিজয়নগরে নবনির্মিত আবাসনের মালিকানার চাবি, কাগজ ও দশ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন তৎকালীন জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ,পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তম সহ অন্যরা।

আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও দাবি এখন বিজয়নগরের আবাসন অসম্পূর্ণ অবস্থায় আছে। কিন্তু কয়লা মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে। এরমধ্যে ২৫০ কোটি টাকা অন্ডালের দক্ষিণখন্ড সহ একাধিক জায়গায় জমি কিনে আবাসন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তাঁর অভিযোগ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কয়লা মন্ত্রক। সে কারণেই বাকি কাজ করা যাচ্ছে না। তবে অনেকেই বিজয়নগরে যেতে চাইছেন না বলে খবর। সেটাও একটা বড় সমস্যা বলে মনে করা হচ্ছে। এনিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চললেও নতুন ঘর কবে পাবেন ধস কবলিতরা সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

ধস পুনর্বাসনের প্রকল্পের কয়লা মন্ত্রকের নোডাল অফিসার সৈকত চক্রবর্তী আবার বলছেন, “৬১০ কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে দেওয়ার কথা। প্রথম ধাপে ৩০০ কোটি ক্যাবিনেটে পাশ হয়। সেটা তিন ধাপে পাঠানো হয়েছে। এ বছরের মার্চে সবটা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট আমরা এখনও পাইনি। তাই পরের টাকাটা দেওয়া যাচ্ছে। আমাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ৫০ কোটি টাকার বেশি কাজ হয়নি।”