আসানসোল: কালীপুজোর পরদিনই মেডিক্যাল চেক আপের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। জেলে থাকার প্রায় দু’মাস পর মেডিক্যাল চেকআপের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। সূত্রের খবর, এদিন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে সকাল ১১ টা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তেমনটা হলে প্রায় দু’মাস পর তাঁকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। মূলত রুটিন চেকআপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে সূত্রের দাবি।
গত ২৪ অগস্ট থেকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল। ২৫ অগস্ট তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জেলা হাসপাতালে। কিন্তু সে সময় হাসপাতালচত্বরে এত ভিড় হয়, পুলিশি তৎপরতাও বেড়ে যায়। এদিকে এই তৎপরতার কারণে সাধারণ রোগীর পরিষেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এবার বিশেষ নজর রাখা হয়েছে যাতে কোনওরকম অনভিপ্রেত পরিস্থিতি না তৈরি হয়।
সূত্রের খবর, আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে এই মুহূর্তে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের কারা দফতরের পক্ষ থেকে আসানসোল সংশোধনাগারের জন্য একজন আংশিক সময়ের চিকিৎসক চেয়ে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছিল। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যাঁদের বয়স ২৭ বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে, তাঁদের আবেদন করতে বলা হয়।
সূত্রের দাবি, আসানসোল সংশোধনাগার হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই কোনও স্থায়ী চিকিৎসক নেই। ন্যূনতম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালাতে গেলেও যে স্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সিং স্টাফ দরকার তাও নেই। বর্তমানে একজন আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার যিনি আসানসোল কোর্টের ডিসপেনসারিতে আসেন তিনিই ঘণ্টা দু’য়েকের জন্য সংশোধনাগারে যান বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। কেউ অসুস্থ থাকলে দেখে আসেন তিনি। যদিও এ নিয়ে সংশোধনাগারের ভারপ্রাপ্তের কোনও বক্তব্য বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এক মাস হয়ে গেল জেলে অনুব্রত মণ্ডল। প্রভাবশালী তত্ত্বে গত ২১ সেপ্টেম্বর তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। তারপর পুজোর ছুটি শুরু হয়ে যায়। এরমধ্যে আর কোর্ট প্রোডাকশনও হয়নি। ফলে ৩০ দিন পার হয়ে গেল গরাদের পিছনেই দিন কাটছে কেষ্টর।