BJP’s Shaheed Tarpan: নিহত কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে দামোদরে তর্পণ বিজেপি বিধায়কের
Durgapur: এই কর্মসূচিতে ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি দিলীপ দে, অন্যতম সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই।
পশ্চিম বর্ধমান: গত ২ মে উত্তর কলকাতার কাশীপুর সর্বমঙ্গলা ঘাটে তর্পণ করতে দেখা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। ভোট পরবর্তী ঝামেলায় যে সমস্ত বিজেপি কর্মী মারা গিয়েছেন, সেদিন তাঁদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই তর্পণ করেন তিনি। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির দেখানো পথেই এবার দুর্গাপুরে দামোদরের তীরে নিহত কর্মীদের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণ করল জেলা বিজেপি। কাঁকসার সন্দীপ ঘোষ নামে এক বিজেপি কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে বিজেপির বুথ সভাপতির বাবা রামপ্রসাদ সরকারকেও পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সবক্ষেত্রেই বিজেপির অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। বিজেপির অভিযোগ, একটা ঘটনারও এখনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। যদিও শাসকদলের একাংশের দাবি, এই ধরনের অভিযোগের তদন্ত এখন সিবিআইয়ের হাতে। ফলে রাজ্য পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করেও বিরোধীদের বিশেষ লাভ হবে না। আর এইসব তরজার মধ্যেই শনিবার দুর্গাপুরে দামোদর নদে বীরভানপুর বির্সজন ঘাটে তর্পন করল বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।
এই কর্মসূচিতে ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি দিলীপ দে, অন্যতম সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। এদিন দুর্গাপুর ব্যারাজের জলে নেমে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব শাস্ত্র মতে তর্পন করেন, মন্ত্রপাঠ করেন পুরোহিত। লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, “২০১৮ সাল থেকে প্রায় ১০৬ জন বিজেপি কর্মীকে পশ্চিমবঙ্গে হত্যা করা হয়েছে। দুর্গাপুরেও দু’জনকে মারা হয়। তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় এই তর্পণ করলাম। আমরা তো আছিই। দুর্গাপুর, আসানসোলের সমস্ত বিজেপি কর্মী এখানে শামিল হয়েছেন।”
গত ২ মে তৃণমূলের তৃতীয়বারের সরকারের বর্ষপূর্তি ছিল। ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হয়। সেই দিনকে সামনে রেখে কলকাতার কাশীপুর সর্বমঙ্গলা ঘাটে তর্পণ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, গত এক বছরে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপির ৬০ জন কর্মী সমর্থক খুন হয়েছেন। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় এই উদ্যোগ। পাল্টা তৃণমূলের তরফে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য ছিল, এসব প্রচারের আলোতে আসার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।