Anubrata Mondal: আদালতে ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ অনুব্রত নামতেই কালো জুতো, চোর চোর বলে উঠল স্লোগান

CBI: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নামার মুখে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সিবিআই আদালতে পৌঁছতেই দেখা গেল সেই ছবি।

Anubrata Mondal: আদালতে 'দোর্দণ্ডপ্রতাপ' অনুব্রত নামতেই কালো জুতো, চোর চোর বলে উঠল স্লোগান
অনুব্রতকে দেখেই উঠল জুতো।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2022 | 5:38 PM

পশ্চিম বর্ধমান: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার অনুব্রত মণ্ডলকে লক্ষ্য করে জুতো। যদিও জুতো ছুড়ে মারেননি এক্ষেত্রে। তবে কালো জুতো তুলে প্রতিবাদ আসানসোল সিবিআই আদালত চত্বরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নামার মুখে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সিবিআই আদালতে পৌঁছতেই দেখা গেল সেই ছবি। এদিন সকাল থেকেই আসানসোল বিশেষ আদালতের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় বাম, বিজেপি।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। সেখান থেকে দুর্গাপুরের পথে রওনা দেয় কনভয়। সেখান থেকে গাড়ি পৌঁছয় কুলটিতে ইসিএলের শীতলপুর গেস্ট হাউসে। এখানেই সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প। সিবিআই সূত্রে খবর, সেখানে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রতকে। এরপরই সেখান থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। গাড়ি থেকে নামিয়ে আদালতের ভিতরে ঢোকানো হয় বীরভূমের ‘কেষ্ট’কে।

এদিকে আদালতচত্বরে অনুব্রত মণ্ডল নামতেই রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাম, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সেই ভিড়ের মধ্যে থেকে স্লোগান ওঠে, ‘গরু চোরের সাজা চাই’। কেউ কেউ আবার জুতো তুলে চিৎকার করে গালিগালাজ করতে থাকেন ‘বীরভূমের বাহুবলি’ নেতার উদ্দেশে। এক প্রতিবাদী সিপিএম কর্মীকে বলতে শোনা যায়, “পাপের ঘড়া পূর্ণ হতে চলেছে।” আরেক প্রতিবাদী বলেন, “নানুর থানা জ্বালিয়ে দিয়েছে। বালি চোর, গরু চোর। বিশ্বভারতীকে শেষ করে দিয়েছে।”

আদালতের সামনে বহু মহিলাও এসেছেন এদিন। এমনই একজন রেখা মিত্র বলেন, “কী করেননি উনি। কয়লা থেকে শুরু করে, গরু থেকে শুরু করে, কী করেননি উনি? আমার কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আমি ওনাকে দেখতে এসেছি। উনি যা করেছেন, প্রতিদিন তো টিভিতে দেখতাম। গরু চোর দেখতে কেমন, তাই এলাম। পুলিশ টুলিশ কিছু লাগবে না। আমার হাতেই ছেড়ে দিক না। দেখে নেব।”