Salanpur: রাস্তায় এক ধারে পড়ে বাবা, অন্যদিকে মেয়ের ছটফটানি… মর্মান্তিক পরিণতি দু’জনের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 21, 2023 | 7:47 AM

Salanpur: এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সালানপুরে পথঅবরোধ করেন নিহতদের গ্রামের বাসিন্দারা।

Salanpur: রাস্তায় এক ধারে পড়ে বাবা, অন্যদিকে মেয়ের ছটফটানি... মর্মান্তিক পরিণতি দুজনের
পথঅবরোধে এলাকার বাসিন্দারা।

Follow Us

আসানসোল: মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল বাবা, মেয়ের। ঝাড়খণ্ডের এই দুর্ঘটনার পরই ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথ অবরোধ হয় বাংলায়। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানাবর্তী এলাকা আসানসোলের সালানপুরে সোমবার এই অবরোধের ঘটনা ঘটে। পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার। সালানপুর ব্লকের আল্লাডি গ্রামের বাসিন্দা ভুবন পাল (৪৫) ও তাঁর ১১ বছরের মেয়ে মিতা পাল বাইকে চেপে ঝাড়খণ্ডের নিরসায় যাচ্ছিলেন। বাবা-মেয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সেখানে যাওয়ার সময়ই নিরসার কাছে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনাটি ঘটে। নিরসার কাছে পাড়্যা মোড়ে দুর্ঘটনার শিকার হন বাবা ও মেয়ে। অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের একটি ট্রাক ওই বাইককে ধাক্কা মারে। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার। অভিযোগ ওঠে, ওই ট্রাকটি একটি পাওয়ার প্ল্যাটের ছিল। এদিকে এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও তারা কোনওরকম সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। তারই প্রতিবাদে পথে নামেন মৃতের পরিবারের লোকজন।

সোমবার নিহতদের আত্মীয়স্বজনরা হঠাৎ করেই সালানপুরে আল্লাডি মোড়ে পথ অবরোধ শুরু করেন। বিকেল পাঁচটা থেকে স্তব্ধ হয়ে যায় আসানসোল চিত্তরঞ্জন মূল সড়ক। ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সালানপুর থানা ও রূপনারায়ণ ফাঁড়ির পুলিশ। সেখানে পৌঁছন তৃণমূলের ব্লক সহসভাপতি ভোলা সিংও।

গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ভুবনের মৃত্যুতে পরিবার অথৈ জলে পড়ে গিয়েছে। সঙ্গে মেয়েকেও হারানোর শোক। চোখে দেখতে পান না ভুবনের বৃদ্ধ বাবা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর তিনদিন পার হয়ে গেলেও ওই পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ বা ঝাড়খণ্ড প্রশাসন কোনও সহযোগিতার বার্তা নিয়ে তাদের কাছে আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে পরিবারটিকে বাঁচাতে তাঁরা পথে নেমেছেন। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তোলে।

সালানপুর তৃণমূল ব্লক সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন, নিরসার বিধায়ক অপর্ণা সেনগুপ্ত এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলব। ঝাড়খণ্ডের ওই সংস্থার তরফে বিশেষ উদ্যোগ না নেওয়ায় এই অবরোধ। এদিকে ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ ধানবাদ থেকে আনা হবে না, সৎকারও হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন গ্রামবাসী।

Next Article