খড়গপুর: কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন (Kasba Fake Vaccine) কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই প্রেক্ষিতে টিকা কর্মসূচিতে নয়া নিয়ন্ত্রণ এনেছে স্বাস্থ্য দফতর। আর তার মধ্যেই খড়গপুরের (Kharagpur) মালঞ্চ এলাকায় বেসরকারি ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে টিকাকরণের নামে এক একজনের কাছ থেকে ১,১৫০ টাকা তোলার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
অভিযোগ, টিকা দেওয়ার নামে এলাকাবাসীর কাছ থেকে ১,১৫০ টাকা করে নিয়ে আগাম রেজিস্ট্রেশন করাচ্ছিল এক বেসরকারি ডায়গনস্টিক সেন্টার। এই অভিযোগ পেয়েই স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে হানা দিয়ে রবিবার বিকালে খড়গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকার ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চারজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে আবির ব্যানার্জি নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক অংশীদারকে এদিন পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি তিনজনকেও গ্রেফতার করা হতে পারে বলে খবর।
বেসরকারি ক্ষেত্রে করোনা টিকা ব্যবস্থাপনায় নিজেদের হাতে রাশ রেখেছে রাজ্য। এখন যে কোনও বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্র অথবা কর্মক্ষেত্র, টিকাকেন্দ্র করলে আগাম স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট ডায়গনস্টিক সেন্টারের কাছে এমন কোনও অনুমতিপত্র ছিল না বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতর বা প্রশাসনিক কোনও অনুমতি ছাড়াই খড়গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য এক একজনের কাছ থেকে ১,১৫৯ টাকা করে তুলছিল।
বিভিন্ন সূত্র মারফত প্রশাসনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই সেন্টারের মালিক-সহ তিন কর্মীকে আটক করে পুলিশ। খড়গপুরের মহকুমা শাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও করেন তাদের।
আরও পড়ুন: ‘উপনির্বাচনের আগে পুরসভার নির্বাচন হোক,’ দাবি দিলীপের
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরবর্তীতে ৩ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। প্রশাসনের কোনও অনুমতি ছাড়াই কীভাবে তারা মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছিলেন ভ্যাকসিন দেওয়ার নাম করে, সেই অভিযোগে মূলত এই গ্রেফতার বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক আজমল হোসেন। তবে এখনও পর্যন্ত ওই শিবির থেকে কেউ ভ্যাকসিন নেননি।