Paschim Medinipur: রাস্তাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, প্রাণ গেল ৩ মাসের শিশুর

Child died during parents fight: তাঁর সন্তানকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সালমা খাতুন বলেন, "আমার স্বামী আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। আমি রাস্তায় ছিলাম। একজন বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। আমার স্বামী আমার বোনকে ফোন করেছিল। ও আমাকে মারবে বলে ষড়যন্ত্র করেছিল। মদ্যপান করে এসেছিল। ছেলেকে টানাটানি করছিল।

Paschim Medinipur: রাস্তাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, প্রাণ গেল ৩ মাসের শিশুর
কী বলছেন মৃত শিশুর মা?Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 30, 2025 | 11:01 PM

দাসপুর: রাস্তাতে স্বামী-স্ত্রীর গন্ডগোল। সেইসময় স্বামী তিন মাসের সন্তানকে টানাটানি করেন বলে অভিযোগ। তারপরই শিশুর মৃত্যু হয়। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকায়। অভিযুক্ত রাজু দাসকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত শিশুর মা সালমা খাতুনের অভিযোগ, তাঁকে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন তাঁর স্বামী।

ওই দম্পতির বাড়ি হাওড়া জেলার ভাটোরা এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তাঁরা দাসপুরে থাকেন। গত কয়েকদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁর স্বামী রাজু দাস তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। সেই সমস্যার সমাধান করতে শনিবার সন্ধেয় সালমা খাতুনকে দাসপুরের সয়লা এলাকায় দেখা করতে ডাকেন রাজু।

সালমা টোটো করে সেখানে পৌঁছলে রাস্তার মধ্যেই দু’জনের মধ্যে ফের ঝগড়া শুরু হয়। তর্কাতর্কির মাঝে টানাহেঁচড়ার ফলে সালমার কোলে থাকা তিন মাসের শিশু সান্নি দাসের গায়ে আঘাত লাগে। আঘাত লাগার বিষয়টি টের পাওয়ার পর দ্রুত শিশুটিকে সোনাখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে দাসপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজু দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে।

তাঁর সন্তানকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সালমা খাতুন বলেন, “আমার স্বামী আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। আমি রাস্তায় ছিলাম। একজন বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। আমার স্বামী আমার বোনকে ফোন করেছিল। ও আমাকে মারবে বলে ষড়যন্ত্র করেছিল। মদ্যপান করে এসেছিল। ছেলেকে টানাটানি করছিল। আমি নিষেধ করছিলাম। পরে একটা গাড়ির আলোয় দেখি, আমার ছেলের নাক দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে।”