
পশ্চিম মেদিনীপুর: বিপুল করের বোঝা। বছর বছর ধরে জমতে জমতে অঙ্ক এসে ঠেকেছে সাড়ে চার কোটিতে। এই বকেয়া কিন্তু প্রশাসনের নয়, বরং জনসাধারণের। যা আপাতত আদায়ে বেরিয়ে পড়েছেন পুরসভার প্রধান ও উপপ্রধান। সোমবার থেকেই দুয়ারে-দুয়ারে ঘুরছেন তাঁরা।
ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের। সোমবার সেখানকার ২ এবং ৪নং ওয়ার্ডে চলেছে কর আদায় অভিযান। বাড়ি-বাড়ি গিয়েছেন মেদিনীপুর পুরসভার প্রধান সৌমেন খান এবং উপপ্রধান মৌ রায়। এই অভিযানে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন পুরসভার ফিনান্স অফিসার ও ট্য়াক্স কালেক্টর অফিসাররাও। সবে দু’টি ওয়ার্ড থেকে কিছু পরিমাণ বকেয়া কর আদায় হয়েছে। এখনও বাকি ২৩টি ওয়ার্ড। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঘুরে-ঘুরে সেখান থেকেও কর আদায় করবেন পুরপ্রধান।
এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘যাঁদের সম্পত্তি কর বাকি রয়েছে, তাঁদের কাছেই আপাতত আমরা দ্বারস্থ হচ্ছি। আবেদন জানিয়েছি, বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার। অনেকেই সাড়া দিয়েছেন। একজনের ৩ লক্ষ টাকা সম্পত্তি কর বাকি ছিল। উনি ১ লক্ষ টাকা দিয়ে গিয়েছেন। বাকিটাও দিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমরা এই বকেয়া করের ক্ষেত্রে সুদ মকুব করে দিয়েছি, যাতে মানুষ তাড়াতাড়ি তা শোধ করতে পারেন।’
এই বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে একটি মাপকাঠিও তৈরি করে দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর পুরসভা। জানা গিয়েছে, যাঁদের ১০ হাজার টাকার অধিক সম্পত্তি কর বকেয়া রয়েছে, তাঁদের কাছে তা মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। এই কর সম্পূর্ণ ভাবে মিটিয়ে দিলে পুরসভাও উন্নয়নমূলক কাজে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করতে পারবে বলেই আশ্বাস পুরপ্রধানের। পাশাপাশি, পুরসভার বহু কর্মী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিতেও সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।